সাতঘড়িয়াতেই তাঁর আরও একটি বাড়ি আছে। যেখানে তার বড় বৌমা ফরিদা বিবি দুই ছেলেকে নিয়ে বসবাস করেন। শ্বশুর ও শাশুড়ির রান্না করে দিয়ে এই বাড়িতে আসেন তিনি। প্রতিদিনের মত এদিনও বিকালে রান্নাঘরে রান্না করছিলেন ফরিদা বিবি। সেক বশির এবং তার স্ত্রী নিজেদের ঘরে ছিলেন। বশির বাবুর ছোট ছেলে শেখ মহসিন ভিন রাজ্যে কাজে গিয়েছিলেন। এদিনই তিনি পান্ডুয়ার বাড়িতে ফিরে আসেন। সম্পত্তি নিয়ে বাবার সঙ্গে বচসার শুরু হয় তাঁর।
advertisement
আরও পড়ুন : চাহিদা আকাশছোঁয়া, সময় হাতে কম! প্রদীপের আলো জ্বালাতে ঘুম ভুলেছে কুমোরপাড়া
অভিযোগ, তখনই ঘরে থাকা পাঁচ লিটারের গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে শেখ মহসিন শেখ বশিরের মাথায় মারেন। ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়ে ওই প্রৌঢ়। তাঁর কান দিয়ে নাক দিয়ে রক্ত ক্ষরণ হতে শুরু করে। গন্ডগোলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয় পান্ডুয়া থানার পুলিশ। পুলিশ প্রৌঢ়কে পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে, কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। পুলিশ অভিযুক্ত শেখ মহসিনকে আটক করে থানায় নিয়ে গিয়েছে। উদ্ধার হয়েছে ৫ লিটারের গ্যাসের সিলিন্ডারটি।
আরও পড়ুন : লাটে উঠেছে ব্যবসা, চারমাস ধরে রোজ কমছে ক্রেতা! ঘরে-বাইরে জেরবার সাধারণ মানুষ, চাকদহের এ কী হাল…
এ বিষয়ে এদিন শেখ বসিরের বৌমা ফরিদা বিবি জানান, ‘প্রায়শই ছোট দেওর শেখ মহসিন বাড়িতে এসে মদ্যপ অবস্থায় গালিগালাজ করত। বাবা-মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করত তার নামে বাড়ি লিখে দেওয়ার দাবিতে। আজও সেই নিয়েই বিবাদ বেঁধেছিল। তবে এমন হবে বুঝতে পারিনি। হঠাৎই রান্নাঘর থেকে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে বেরিয়ে দেখি, বাবা ডাইনিং রুমে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। মহসিন দরজার বাইরে গিয়ে সিলিন্ডারটি ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায়।