কাজ থেকে ফিরে বাড়িতে খাবার থালা নিয়ে খেতে বসতেই ছেলের সঙ্গে বচসা জরায় বাবা। এরপর খাবার থালা ছুড়ে ফেলে দিতেই ছেলেকে কুড়ুলের কোপ মেরে রক্তাক্ত অবস্থায় পালায় বাবা।পরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় ছেলের। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে শক্তিগড় থানার পুলিশ। শক্তিগড় থানার কাশিয়ারার এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই এলাকা চাঞ্চল্য ছড়ায়।
advertisement
মৃতের নাম সুজিত সিং। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সাধন সিং ও তার ছেলে সুজিত সিং দু’জনেই ক্ষেতমজুর। প্রায়ই মদ খাওয়া নিয়ে সাধন সিং -এর সাথে অশান্তি হত ছেলে সুজিত সিং -এর। বুধবার সাধন সিং মাঠ থেকে এসে খেতে বসলে তাকে গালিগালাজ করতে থাকে ছেলে সুজিত। এমনকি সাধন সিং-এর ভাতের থালা ছুড়েও ফেলে দেয় বলেই অভিযোগ। এরপরই ঘরে থাকা একটি কুড়ুল নিয়ে সুজিত-এর মুখে ও কপালে কোপ মারে সাধন সিং এবং সে তাতে রক্তাক্ত অবস্থায় সুজিত লুটিয়ে পড়লে ঘর থেকে পালিয়ে যায় সাধন। আর্তনাদ শুনে প্রতিবেশীরা এসে সুজিত-কে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সন্ধ্যায় মৃত্যু হয় সুজিত-এর।
ঘটনায় শক্তিগড় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এক প্রতিবেশী। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কাশিয়ারা গ্রাম থেকে সাধন সিং-কে গ্রেফতার করে পুলিশ।চারদিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে ধৃতকে বৃহস্পতিবার বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতের তিন দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করে আদালত।
এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, মদ খাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রায়ই বাবা ও ছেলের মধ্যে অশান্তি হতো। আবার তা মিটেও যেত।কিন্তু তার পরিনতি যে এমনটা হবে তা কখনও ভাবতে পারিনি।