Military Power: যুদ্ধবিমান-ট্যাঙ্ক-ক্ষেপণাস্ত্র-যুদ্ধজাহাজ, 'বাহুবলী' ভারতীয় সেনা, পাকিস্তানকে নিমেষে 'গুড়িয়ে' দিতে কত সময় লাগবে ভারতের?
- Published by:Pooja Basu
- news18 bangla
Last Updated:
গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার র্যাঙ্কিং ২০২৫ অনুসারে, ভারতের সেনাবাহিনী বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী বাহিনী। পাকিস্তানের তুলনায় ভারতের সৈন্য, ট্যাঙ্ক, বিমান এবং সাবমেরিনের সংখ্যা বেশি।
ভারত বনাম পাকিস্তান সামরিক বাহিনী: মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক আরও তলানিতে ঠেকেঠে। জঙ্গি হামলার পরপরই ভারত বেশ কয়েকটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল ১৯৬০ সালের সিন্ধু জল চুক্তির অবসান ঘটানো। এছাড়াও, ভারতে অবস্থিত পাকিস্তানি হাইকমিশনে উপস্থিত কর্মকর্তাদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
advertisement
advertisement
এমন পরিস্থিতিতে, যুদ্ধ বা আক্রমণের ক্ষেত্রে কোন দেশ বেশি শক্তিশালী তা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ক্ষেত্রে, গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ২০২৫ এর প্রতিবেদন উঠে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা। এই প্রতিবেদন অনুসারে, ১৪৫টি দেশের সামরিক শক্তির তালিকায় ভারত চতুর্থ স্থানে রয়েছে, যেখানে পাকিস্তান ১২তম স্থানে রয়েছে। এর পিছনে অনেক কারণ রয়েছে, যা আপনাকে একে একে জানাব।
advertisement
ভারতের শক্তি ভূমি থেকে শুরু হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ১৪.৪৪ লক্ষ সক্রিয় সৈন্য রয়েছে, যেখানে ১১.৫৫ লক্ষ রিজার্ভ বাহিনী এবং ২৫.২৭ লক্ষ আধাসামরিক বাহিনী রয়েছে। সেনাবাহিনীর যুদ্ধশক্তিতে আধুনিক এবং দেশীয় প্রযুক্তির এক চমৎকার মিশ্রণ রয়েছে। ভারতের মোট ৪২০১টি ট্যাঙ্ক রয়েছে। এতে অর্জুন ট্যাঙ্ক, টি-৯০ ভীষ্মের মতো বিপজ্জনক ট্যাঙ্কগুলি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতকে অজেয় করে তোলার ক্ষমতা রাখে।
advertisement
advertisement
advertisement
বিমান বাহিনী: আকাশে ভারতের আধিপত্য-ভারতীয় বিমান বাহিনীর মোট ২২২৯টি বিমান রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ৬০০টি যুদ্ধবিমান, ৮৩১টি সহায়তা বিমান, ৮৯৯টি হেলিকপ্টার এবং ৫০টিরও বেশি ইউএভি। এর পাশাপাশি, ভারতের কাছে সবচেয়ে আধুনিক যুদ্ধবিমান রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রাফালে যুদ্ধবিমান, সুখোই সু-৩০এমকেআই, মিরাজ-২০০০, মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান।
advertisement
এছাড়াও, ভারতীয় বিমান বাহিনী ব্রহ্মোস, অস্ত্র, রুদ্রম এবং আকাশের মতো ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা দিয়ে সজ্জিত। পাকিস্তানের ১৩৯৯টি বিমান রয়েছে, যার মধ্যে ৩২৮টি যুদ্ধবিমান, ৬৪টি পরিবহন বিমান, ৫৬৫টি প্রশিক্ষণ বিমান এবং ৩৭৩টি হেলিকপ্টার। এতে ৫৭টি আক্রমণাত্মক হেলিকপ্টার এবং ৪টি বিমানবাহী ট্যাঙ্কারও রয়েছে। এখানেও, ভারতীয় বিমান বাহিনী কেবল সংখ্যায় নয়, যুদ্ধক্ষমতা এবং পরিসরের দিক থেকেও অনেক এগিয়ে।
advertisement
নৌবাহিনী: ভারতের সামুদ্রিক সীমান্তে নিরাপত্তা-ভারতীয় নৌবাহিনী দ্রুত সম্প্রসারণ করছে এবং আধুনিক প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতের ১৫০টি যুদ্ধজাহাজ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আইএনএস বিক্রান্ত এবং আইএনএস বিক্রমাদিত্যের মতো বিমানবাহী জাহাজ এবং পারমাণবিক সাবমেরিন, যেখানে ধানুশ এবং কে-১৫-এর মতো ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা যেতে পারে।
advertisement
ভারতীয় নৌবাহিনীতে মোট ১,৪২,২৫২ জন সক্রিয় সৈনিক রয়েছেন। পাকিস্তান নৌবাহিনীর ১১৪টি জাহাজ, ৮টি সাবমেরিন এবং ৯টি ফ্রিগেট যুদ্ধজাহাজ রয়েছে। যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলিতে পাকিস্তান তার নৌশক্তি বৃদ্ধি করেছে, তবুও ভারতের নৌবাহিনী পাল্লা, নেটওয়ার্কিং এবং পারমাণবিক সক্ষমতার দিক থেকে অনেক এগিয়ে রয়েছে।
advertisement
প্রতিরক্ষা উৎপাদনে ভারত ব্যয় করছে। সামরিক সক্ষমতা, প্রযুক্তিগত শ্রেষ্ঠত্ব এবং কৌশলগত প্রস্তুতির ক্ষেত্রে ভারত পাকিস্তানের চেয়ে অনেক গুণ এগিয়ে। ভারতের সামরিক পরিকাঠামো কেবল বিশালই নয়, বরং ক্রমাগত স্বনির্ভরতা এবং উচ্চ প্রযুক্তির আপগ্রেডের দিকেও এগিয়ে চলেছে। ভারতের আধাসামরিক বাহিনী, স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক, ড্রোন প্রযুক্তি এবং বহু-ক্ষেত্রীয় যুদ্ধ কৌশল ভারতকে বিশ্ব সামরিক মানচিত্রে সামনের সারিতে রেখেছে, যেখানে সীমিত সম্পদ এবং সাহায্য-নির্ভর সামরিক নীতির কারণে পাকিস্তান ধীরে ধীরে পিছিয়ে পড়ছে। ভারত প্রতিরক্ষা উৎপাদন, সাইবার যুদ্ধ এবং মহাকাশ-ভিত্তিক সামরিক ব্যবস্থায় ক্রমাগত বিনিয়োগ করে চলেছে।