অস্মিতের মোট প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৯। মাহেশ রামকৃষ্ণ আশ্রমের ছাত্র অস্মিত। ছেলের সাফল্যের দিনেও বাবার জন্য চোখের জল ছেলে ও তার পরিবারের।কোন্নগর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বারোয়ারিতলা এলাকার বাড়ি অস্মিতের।
পড়াশোনার পাশাপাশি গান শোনা ও কবিতা-আবৃতি করা তার অন্যতম পছন্দের একটি শখ। সারাদিনের পড়ার ফাঁকে কখনো রবীন্দ্রনাথের কবিতা কখনওবা অনুপম রায়ের গান শুনে অবসর সময় কাটাত অস্মিত।
advertisement
আরও পড়ুন- এত দিনের অভিনেত্রী, সম্পত্তির পরিমাণ এই! ‘নেত্রী’ জুনের টাকা-সোনার অঙ্ক চমকাবে
আজ যখন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যের মধ্যে মেধাতালিকায় অষ্টম স্থানে অস্মিত, তখন তার এবং পরিবারের সবার চোখে জল। এই বিষয়ে বলতে গিয়ে অস্মিতার মা রমা মুখোপাধ্যায় চোখের জল ফেলতে ফেলতে বলেন, ছেলে কীভাবে পড়াশোনা করবে, কোন কোন সাবজেক্ট নেবে, সবটাই ঠিক করে দিয়েছিল ওর বাবা। আজ ওর বাবা বেঁচে থাকলে হয়তো সবথেকে বেশি খুশি হতেন।
আরও পড়ুন- ভোরবেলা পড়তে বসতেই ভাল লাগত বেশি, মাধ্যমিকে ষষ্ঠ আফরিন চান চিকিৎসক হতে
এই বিষয়ে অস্মিত জানায়, ভবিষ্যতে তার শিক্ষক হওয়ার ইচ্ছে। বর্তমান সময়ে শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষকদের যা অবস্থা সেই প্রসঙ্গে অস্মিত বলে, অন্ধকারের পরেই আলো থাকে। সঠিক সময় আলোর দিশা দেখা যাবে। ঘরের মধ্যে নিজের লক্ষ্য স্থির করে কাগজে লিখে রেখেছিল অস্মিত। “আমার লক্ষ্য ৪৯০”। লক্ষ্যের থেকে মাত্র এক নম্বর কম পেয়েছে সে।
রাহী হালদার