কৃষকরা বলছেন, ধান, আলু চাষে প্রচুর টাকা খরচ। অথচ সেভাবে লাভের মুখ দেখা যাচ্ছে না। ফুলকপি- বাঁধাকপি- বেগুন সহ বিভিন্ন সবজি জলের দরে বিক্রি করে দিতে হচ্ছে। সেই জায়গায় ফুল চাষে লাভ রয়েছে। তাছাড়া সারা বছর তার চাহিদাও থাকে। গ্রীষ্মকালে উৎপাদন কম হলেও দাম বেশি থাকে। সারা বছর অর্থের জোগান দেয় এই ফুল।
advertisement
আরও পড়ুন: গর্তে লুকিয়ে কী রয়েছে! হাত দিতেই মারাত্মক কাণ্ড ঘটল কিশোরের সঙ্গে
পূর্বস্থলীতে প্রচুর ফুলের নার্সারি রয়েছে। সেখানে বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে উচ্চ ফলনশীল বিভিন্ন ফুল ও ফলের চারা তৈরি করা হয়। সেখান থেকেই চারা কিনে জমিতে গাঁদা ফুলের চাষ করছেন অনেকেই। কৃষকরা জানালেন, প্রথমে কয়েকজন এই চাষ করেছিলেন। তাঁদের দেখাদেখি এখন অনেকেই এই চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: হাট বসেছে সুন্দরবনে! আইলা-র পর এক যুগ পার! ফের বসল 'শুক্রবারের হাট'!
এমনিতে বাগান সাজাতে গাঁদা ফুলের জুড়ি নেই। আবার ধর্মীয় এবং সামাজিক অনুষ্ঠানে গাঁদার মালা, ফুলের বহুল ব্যবহার অনেককেই ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গিতে এই ফুল চাষ অনেকেই উৎসাহিত করেছে। সহজেই চাষ করা যায়। আবার চাষের পর গাঁদা ফুল খুব কম সময়ের মধ্যে বাজারজাতও করা যায়। ভাল আকার ও গুণমানের গাঁদা ফুলের চাহিদা রয়েছে সারা বছর। সব মিলিয়ে ধান, আলুর বদলে বিকল্প চাষ হিসেবে লাভজনক এই ফুল চাষের কথা ভাবছেন কৃষকরা।
তাঁরা বলছেন, ধান চাষে অনেক সময় লাগে। খরচও অনেক বেশি। আবার অনেক কৃষি শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। ভরা মরশুমে সেই শ্রমিক পেতেও সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। আলুর দাম ফলনের উপর নির্ভর করে। প্রচুর ফলন হয়ে গেলে তার দাম কমে যায়। সব মিলিয়ে এই চাষ অনিশ্চয়তায় মোড়া।সেই জায়গায় গাঁদা ফুল চাষে খরচ কম লাগে। বেশি কৃষি শ্রমিকের প্রয়োজন হয় না। আবার দেড় মাস পর থেকেই ফুল বিক্রি করে পয়সা ঘরে ঘরে তোলা যায়। সেই কারণেই ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের মধ্যে এই চাষে আগ্রহ বাড়ছে।
