দোরগোরায় কড়া নাড়ছে দু’হাজার কুড়ি। বছর শেষে রাজ্যজুড়েই জাঁকিয়ে শীত। কিন্তু খামখেয়ালি আবহাওয়া আর অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত হাওড়া-বর্ধমান-পশ্চিম মেদিনীপুরের কৃষকদের।
কুয়াশা তো ছিলই। পূর্ব বর্ধমানের নতুন আলু বাজারে আসায় বাধা হয়ে দাঁড়াল বৃষ্টি। জেলায় কালনা, পূর্বস্থলী, মেমারি, রায়না-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় আলু চাষ হয়। কিন্তু খামখেয়ালি আবহাওয়ায় আলুর ধসা রোগের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
advertisement
অকাল বৃষ্টিতে ক্ষতির আশঙ্কায় পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা ব্লকের আলুচাষিরাও। ইতিমধ্যে জল জমে গিয়েছে চাষের জমিতে। একটু বৃষ্টি থামতেই জমি থেকে জল বার করতে ব্যস্ত কৃষকরা। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ায়, পোকার আক্রমণ বাড়ছে আলুচাষে।
গোলাপ চাষের জন্য বিখ্যাত হাওড়ার বাগনান। আগামী বছর বিয়ের মরশুমের জন্য ব্যাঙ্কঋণ নিয়ে গোলাপ চাষ শুরু করেছিলেন অনেকেই। বছর শেষের বেহিসেবি বৃষ্টি, ফুলচাষিদের লাভ-ক্ষতির হিসেবই ওলটপালট করে দিচ্ছে। কুয়াশা ও বৃষ্টিতে গোলাপের দায়ে দেখা দিচ্ছে দাগ। গাছ থেকে ঝরেও পড়ছে অনেক ফুল।
দুর্দশার একই ছবি হাওড়া জেলার পানচাষিদের। হাওড়ার বাসুদেবপুর, তুলসীবেড়িয়া, খলিশানি-সহ বিভিন্ন এলাকায় পানের বরজ রয়েছে। এবছর কুশায়া ও বৃষ্টিতে ইতিমধ্যে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পানচাষিরা। পানপাতায় দাগ লাগায়, আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কায় পানচাষিদের একটা বড় অংশ।
নতুন বছরের শুরুতেও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। তাই দুহাজার কুড়ির শুরুতেও দক্ষিণবঙ্গের কৃষকদের মুখে হাসি ফোঁটার সম্ভাবনা কম।