এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে মানুষজন ঝুঁকি নিয়েই ভাঙা কালভার্টের উপর গাছের ডাল বিছিয়ে বা কোমরসমান জল পেরিয়ে যাতায়াত করছে। এতে যেকোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। গ্রামবাসী প্রদীপ মণ্ডল বলেন, আমরা খুবই সমস্যায় রয়েছি। সবজি চাষ হয় গোটা গ্রামে। কিন্তু যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় আমরা সবজি বিক্রি করতেও যেতে পারছি না। সব সবজি পচে যাচ্ছে। এতে আমাদের বিপুল ক্ষতি হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: জল যন্ত্রণায় অতিষ্ট কালনাবাসী, টানা বৃষ্টিতে দুর্ভোগ চরমে
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত ও প্রশাসনকে বারবার জানানো হলেও দ্রুত পদক্ষেপ করা হয়নি। শুধু প্রতিশ্রুতিই পাওয়া গেছে। যদিও শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গিয়েছেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, খুব শীঘ্রই কালভার্ট মেরামতির কাজ শুরু হবে। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, রবিবার থেকে কাজ শুরু হবে, যাতে গ্রামের মানুষ আপাতত যাতায়াত করতে পারেন। তবে পাকাপাকি ভাবে এটার সমাধানও খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে।
জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগেই জেলাশাসক এই বিপজ্জনক কালভার্ট পরিদর্শন করেছিলেন। তাঁর নির্দেশে সংস্কারের কাজ হয়েছিলও। কিন্তু অতিবৃষ্টির জেরে জলের তোড়ে কয়েক দিনের মধ্যেই সেটি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে। পরে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে মাইকিং করে গ্রামবাসীদের সতর্ক করা হয়। তবে এতে দুর্ভোগ কমেনি। গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, এই কালভার্ট ভেঙে যাওয়ার কারণে কৃষিনির্ভর মানুষের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে। উৎপন্ন ফসল তাঁরা বাজারে নিয়ে যেতে পারছেন না।
আরও পড়ুন: বাংলায় কথা বলায় কটকের থানায় ৫-৬ দিন আটকে রেখে বেধড়ক মার! চিকিৎসা করাতে গিয়েছিল যুবক
ফলে ঘরে ঘরে পচে যাচ্ছে শস্য। অন্যদিকে, বড় গাড়ি গ্রামে ঢুকতে পারছে না। স্কুল পড়ুয়ারা স্কুলে যেতে পারছে না। নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীও সহজে গ্রামে পৌঁছচ্ছে না। ফলে এই ভাঙা কালভার্ট গোটা অঞ্চলের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত করে তুলেছে।