সুবর্ণরেখা নদী তীরবর্তী এলাকায় শীতের সময় প্রচুর শীতের ফসল চাষ করা হয়। ফুলকপি, বাঁধাকপি টমেটো থেকে শুরু করে সমস্ত ধরনেরই সবজির চাষ করা হয় সুবর্ণরেখা নদীর দুই তীরে। কিন্তু এই শীতের সময় ফুলকপির বিন্দুমাত্র বাজারে চাহিদা নেই। চাহিদা থাকলেও দাম নেই। অন্যান্য বছর মহাজন থেকে শুরু করে পাইকাররা জমিতে এসেই চড়া দামে ফুলকপি কিনে নিয়ে যেত। সুবর্ণরেখা নদীর তীরবর্তী এলাকার ফুলকপি বাংলার পাশাপাশি রফতানি হত পার্শ্ববর্তী রাজ্য উড়িষ্যা ও ঝাড়খন্ড। সেই রফতানিও বন্ধ। ফলে এক টাকা, দু’টাকা প্রতি বিক্রি হচ্ছে ফুলকপি। তাও নিতে চাইছে না কেউ।
advertisement
আরও পড়ুন: পর্যটকদের জন্য বিরাট খুশির খবর, ঝাড়গ্রাম বেড়ানো এখন হাতে চাঁদ পাওয়ার সমান, কারণ জানলে আনন্দে নাচবেন
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
একটি ফুলকপি উৎপাদন করতে চার থেকে পাঁচ টাকা খরচ হয়েছে চাষিদের। ফুলকপির চাহিদা না থাকায় জমির মধ্যেই বুড়ো হয়ে যাচ্ছে ফুলকপি। অন্যান্য ফসল চাষ করার সময় হয়ে আসছে। তাই বাধ্য হয়ে ফুলকপি চাষের ক্ষতিকে স্বীকার করে হাতে কাস্তেও কোদাল নিয়ে চাষিরা জমির মধ্যেই ফুলকপি তছনছ করে দিচ্ছে। বাজারদর বৃদ্ধি পেলে সরকার বাজারদর নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন অভিযান চালায়। কিন্তু বাজারদর তলানিতে ঠেকলে তখন কেউ ঘুরেও দেখে না। এই অভিযোগ তুলে গোপীবল্লভপুর এলাকার ফুলকপি চাষি উজ্জল সাউ বলেন, “ফুলকপির বিন্দুমাত্র চাহিদা নেই এই বছর। এক টাকা, দু’টাকাতেও কেউ নিতে চাইছে না। জমিতে ভরতিহয়ে রয়েছে ফুলকপি। অন্যান্য ফসল চাষ করার সময় হয়ে গিয়েছে। তাই বাধ্য হয়েই জমিতেই ফুলকপিগুলিকে নষ্ট করে দিচ্ছি”।
বুদ্ধদেব বেরা