কালনার বেগপুর পঞ্চায়েতের রাজখাঁড়া গ্রামে ইসমাইল শেখ (৫৫) নামে এক আলু চাষির অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। ওই কৃষকের আত্মীয়দের অভিযোগ, বছর তিনেক ধরে আলু চাষ করে লাভ মিলছিল না। ফলে ঋণের জালে জড়িয়ে পড়েছিলেন ইসমাইল সেখ। এ বারও আলুর দর শুনে ওই চাষি হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েন। এরপর এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। আলু চাষে লোকসানের হতাশা থেকেই তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন বলে দাবি ওই কৃষকের আত্মীয় পরিজনদের।
advertisement
পূর্ব বর্ধমানের আলু চাষিরা বলছেন, এবার ভাল ফলন মিলবে বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ জমিতেই ফলন নেহাতই কম। তার ওপর আলুর তেমন দাম নেই। তাই তাঁদের কপালে চিন্তার ভাঁজ বাড়ছে। গত বছর হিম ঘরে আলু রেখে চরম লোকসানের মধ্যে পড়তে হয়েছে কৃষকদের। প্রথম দিকে দাম থাকলেও পরবর্তী সময়ে ধাপে ধাপে আলুর দাম তলানিতে নেমে এসেছিল। ফলে হিমঘরের আলু রেখে চরম লোকসানের মধ্যে পড়তে হয়েছিল কৃষকদের।
এবার ভাল ফলনের আশায় বুক বেঁধেছিলেন কৃষকরা। আলু বিক্রি করে গতবারের লোকসান অনেকটাই পোষানো যাবে বলে আশা করেছিলেন অনেকেই। কিন্তু দেখা যাচ্ছে এবার অনেক জমিতেই ফলন একেবারেই কম। যে জমিতে বিঘা প্রতি ৮০-৯০ বস্তা আলু হয় সেখানে এবার ৪০ থেকে ৫০ বস্তা আলু পাওয়া যাচ্ছে। আলুর আকারও ছোট। এক একটি গাছে আলুর সংখ্যাও কম হয়েছে। তার ওপর আলুর তেমন দাম মিলছে না। সব মিলিয়ে হতাশ কৃষকরা।