মৃতের ভাই স্বরুপ মন্ডল জানান, ৬ বিঘে জমিতে আমন ধানের চাষ করেছিলেন তাঁর দাদা ভাস্কর মন্ডল(Farmer Commits Suicide)। নিম্নচাপের বৃষ্টি ও শোষক পোকার আক্রমণে ধান চাষের দারুণ ক্ষতি হয়েছিল। পাশাপাশি অসময়ের বৃষ্টিতে আলু চাষেরও ক্ষতি হয়। আড়াই বিঘে জমিতে আলু চাষ করেছিলেন ভাস্কর মন্ডল। কিন্তু নিম্নচাপের বৃষ্টিতে আলু জমিতে জল দাঁড়িয়ে যায়। আলু জমিতে জল দাঁড়িয়ে যাওয়ায় আলু নষ্ট হয়ে যায়।ধান ও আলু বীজ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চরম সংকটে পড়েন ভাস্করবাবু।চাষ করার জন্য তিনি বাজার থেকে ঋণও নিয়ে ছিলেন। এই অবস্থায় কি করে সংসার চলবে, আর কি করেই মহাজনী ধার দেনা শোধ করবেন তাই নিয়ে তিনি ভেঙে পড়েন। চরম মানসিক চাপেই তিনি আত্মঘাতী হন বলে পরিবারের দাবি।
advertisement
আরও পড়ুন: 'স্বাধীনচেতা! বেপরোয়া! কারুর তোয়াক্কা করেননি!' মায়ের জন্য কলম ধরলেন কবীর সুমন
ভাস্করবাবুর দুই মেয়ে। তাদের বিয়ে হয়ে গেছে(Farmer Commits Suicide)। চাষ করেই তাঁর সংসার চলত। ধান আলু চাষে ক্ষতির জেরে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন বলে অভিযোগ পরিবারের।ভাস্কর মন্ডলের স্ত্রী রীনা মন্ডল জানান,পর পর ধান ও আলু চাষে ক্ষতির জেরেই তিনি মানসিক চাপে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। কুচুট পঞ্চায়েতের প্রধান রুমকি মন্ডল জানান,কৃষকদের সার্বিকভাবে ক্ষতি হয়েছে একথা সত্য। তবে ক্ষতির জেরেই মৃত্যু কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক প্রিয়াংকা সিংলা জানিয়েছেন, মৃত্যুর প্রকৃত কারণ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
শরদিন্দু ঘোষ