Kabir Suman: 'স্বাধীনচেতা! বেপরোয়া! কারুর তোয়াক্কা করেননি!' মায়ের জন্য কলম ধরলেন কবীর সুমন

Last Updated:

Kabir Suman: তাঁর কলমে খেলে গেল স্মৃতি বিজরিত বিসমিল্লার পাগলা সানাই! মাকে নিয়ে কলম ধরলেন কবীর সুমন।

#কলকাতা: "বাঁশুরিয়া বাজাও বাঁশি দেখিনা তোমায়
গেঁয়ো সুর ভেসে বেড়ায় শহুরে হাওয়ায়।" ---
এমনটাই প্রাণ কাঁদানো সুরের ডালি নিয়ে শীতের দুপুরে বারান্দায় রোদের সঙ্গে খেলা করছেন কবীর সুমন (Kabir Suman)। আজো তাঁর গলায় ও কলমে শব্দ-সুরের ঈশ্বরীয় জাদু খেলা করে। মোহে মাতিয়ে রাখেন কবীর সুমন।
advertisement
যখন গোটা পৃথিবী মারণ ভাইরাসের আতঙ্কে ভুগছেন। তখন সুরের জাদুকর নিজের বারান্দায় বসে ভেসে যাচ্ছেন মায়ের স্মৃতিতে। মায়ের সঙ্গে ১৯৮০ সালে তাঁর একটি পুরনো ছবি তিনি খুঁজে পান। আর সেই ছবি কবীরকে ভাসিয়ে নিয়ে যায় স্মৃতি পথে। মায়ের জীবন সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলেন তিনি তাঁর কলমে(Kabir Suman)।
advertisement
বেশ কিছু সময় ধরেই কবীর সুমন সোশ্যাল মাধ্যমে বিশেষ করে ফেসবুকে বেশ অ্যাক্টিভ(Kabir Suman)। সেখানেই তিনি লেখেন, " মায়ের সঙ্গে আমার ছবি খুব কম। এই ছবিটা কে যেন পাঠিয়েছেন আমায়। সেই কবে আমেরিকায় তোলা। ১৯৮০ সালে ভি ও এর চাকরি নিয়ে চলে গিয়েছিলাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। মূর্খ তাই চাকরি ছেড়ে ফিরে এসেছিলাম। ---- অসামান্য এক মহিলা ছিলেন আমার মা। সারাজীবন স্বাধীনচেতা। বেপরোয়া। কারুর তোয়াক্কা করেননি। জন্মস্বাধীন। অক্লান্ত পাঠক। বই আর বই। আমার ৭/৮ বছর বয়স থেকে ইণ্ডিয়ান এয়ারলাইন্সে চাকরি করতেন। আমাকেও নিত্যজীবনে স্বাবলম্বনের পাঠ দিয়েছিলেন। "মা মা" করিনি কখনও। --- মার্ক্সিস্ট ছিলেন। সি পি আই এমের সমর্থক। তারপর নকশালপন্থী।
advertisement
ওদিকে জ্যোতি বসুর কাণ্ডজ্ঞানভিত্তিক সোজাসাপ্টা কথাবার্তার ভক্ত। আমাকে একবার জ্যোতি বসুর বক্তৃতা শুনতে পাঠিয়েছিলেন - বাড়ি ফিরে মার কাছে রিপোর্ট পেশ করতে হয়েছিল। --- সুগায়িকা ছিলেন। চারের দশকে বেতারে তো গাইতেনই, গ্রামোফোন রেকর্ডও ছিল। --- বাবা আকাশবাণীতে কাজি নজরুল ইসলামের সুপারিশে চাকরি নেওয়ার পর বাবা মা দুজনেই বেতারে গান গাওয়া বন্ধ করে দেন নীতিগত কারণে। মা অভিনয়ও করতেন। রক্তকরবীর এক বিখ্যাত শো তে মা ছিলেন নন্দিনী আর দেবব্রত বিশ্বাস বিশু পাগল। নিউ এম্পায়ারে মঞ্চস্থ হয়েছিল। আমার ধারণা, দুজনের মধ্যে কিঞ্চিৎ প্রণয়ও ছিল। প্রথমবার চীনে গান গাইতে গিয়ে (মনে হয় যেন গত জন্মের কথা) দেবব্রতবাবু মার জন্য এক রাশ উপহার নিয়ে এসেছিলেন। কাঁচের তৈরি কী চমৎকার সব ক্ষুদে পুতুল। দেবব্রত বিশ্বাস এল আই সি'র এজেন্ট ছিলেন। তাঁর প্রথম দুই পলিসি নিয়েছিলেন মা আর বাবা(Kabir Suman)। -
advertisement
মা স্বাভাবিকভাবে, খোলাখুলি তাঁর পুরুষ বন্ধুদের সঙ্গে date করতেন সেই ব্রিটিশ আমল থেকে আমার যৌবনকাল পেরিয়ে। আমার বাবার তাতে কোনও অসুবিধে দেখিনি। ছেলেবেলা থেকে যৌবনকাল অবধি মা বাবাকে দস্তুরমতো চুমু খেতে দেখেছি - লুকিয়ে নয়। আমার সামনেই তাঁরা আদর করতেন। - আমি আমার নাম পাল্টানোর পর অনেকে আমার মাকে ফোন করে বলতেন, "আপনার ছেলে তো মুসলমান হয়ে গেল!" আমার মা তাঁদের বলতেন, "আমার ছেলে বলেই তো হলো, নয়তো কি তোমার বাবা হবেন?" -
advertisement
ব্রিটিশ আমলে মার সঙ্গে এক সম্ভ্রান্ত বাঙালি মুসলমান যুবকের আলাপ ও মন দেওয়া নেওয়া হয়েছিল। বিয়ের কথাও হয়েছিল। সে আমলে সিভিল ম্যারেজ ছিল না। আমার মা আমায় বলেছিলেন সেই যুবকটির জন্য মার মুসলমান হতে আপত্তি ছিল না। কিন্তু মাঝপথে সুগায়ক ও সুদর্শন সুধীন্দ্রনাথ ব্যুহে ঢুকে পড়ায় সেই ব্যারিস্টার ভদ্রলোকের কপাল পুড়ল।
advertisement
বারান্দায় বসে রোদ পোহাতে পোহাতে লিখলাম। মা মাঝেমাঝে আসেন। দেখতে পাই না। কিন্তু বুঝতে পারি তিনি এসেছেন। গান শুনতে চান। পাশের বাড়ির তিন তলায় একটি ছেলে বাঁশি শিখছেন। তাঁর রেয়াজের সূত্রে এ পাড়ায় বাঁশির সুর ঘুরে বেড়ায়। জয় সুর।" এই লেখা পড়ে আবেগে ভেসেছেন কবীরের(Kabir Suman) ভক্তরা।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
Kabir Suman: 'স্বাধীনচেতা! বেপরোয়া! কারুর তোয়াক্কা করেননি!' মায়ের জন্য কলম ধরলেন কবীর সুমন
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement