গ্রামে গঙ্গার জল ঢোকায় আতঙ্কে নদী পাড়ের বাসিন্দারা। গত কয়েক দিন থেকেই সামশেরগঞ্জে বাড়তে থাকে গঙ্গার জলস্তর, এমনটাই দাবি স্থানীয়দের। বিপদ সীমা অতিক্রম করেছে গঙ্গার জলস্তর। এবার নদী পাড় ছাপিয়ে সেই জল ঢুকছে উত্তর চাচন্ড এলাকায়। রবিবার রাত থেকে এই জল ঢুকতে শুরু করেছে। পরেরদিন সোমবার সকাল থেকেই গ্রামে জল বাড়তে থাকে। স্থানীয়রা বলছেন, গঙ্গার জলে রাস্তাঘাট জলমগ্ন।
advertisement
আরও পড়ুন : বাজারে নতুন চা, দাম শুনলে আঁতকে উঠবেন! এক লক্ষ টাকা কেজি
জলস্তর বাড়লে আরও বিপদ বাড়বে। ফরাক্কা ব্যারাজ এলাকায় গঙ্গার বিপদসীমা ২২.২৫ মিটার। আপ স্ট্রিমে জলস্তর পৌঁছে গিয়েছে ২৭.১০ মিটারে। অন্য দিকে, ডাউন স্ট্রিমে গঙ্গার জলস্তর ২৪.০১ মিটার উচ্চতায় বইছে। মধ্য প্রবাহেও প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে ঝাড়খণ্ড থেকে বিপুল পরিমাণ জলপ্রবাহ ব্যারাজের দিকে আসতে শুরু করায় জলস্তর আরও বাড়বে বলে জানাচ্ছে ব্যারাজ কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন : নিকাশি ব্যবস্থায় বাধা, বড় ক্ষতির মুখে চাষিরা! কয়েকশো একর জমির ফসল নষ্ট
ইতিমধ্যেই টানা বর্ষণের কারনে বিভিন্ন জলাধারের জল ছাড়ার ফলে মুর্শিদাবাদের বিস্তীর্ণ অংশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সামশেরগঞ্জে ব্লকের লোহাপুর, শিবনগর-সহ একাধিক জায়গায় নতুন করে জল ঢুকতে শুরু করেছে। স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টিপাত এবং বাঁধের ছাড়া জলের জন্য বন্যার আশঙ্কা নদিয়া, মুর্শিদাবাদ-সহ নিম্ন গঙ্গা অববাহিকার একাধিক জেলায়। জল বেড়েছে গঙ্গার শাখা নদীগুলিতেও। এদিকে সুতি, সামশেরগঞ্জ হয়ে পদ্মার যে শাখা বাংলাদেশের প্রবেশ করেছে, সেখানেও জলস্তর বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফরাক্কা বাঁধে যে পরিমাণ জল এই মুহূর্তে ধরা আছে, অতিরিক্ত জলপ্রবাহ অব্যাহত থাকলে জল ছাড়তে বাধ্য হবে কর্তৃপক্ষ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বিষয়টি সম্পর্কে বাংলাদেশের জলসম্পদ মন্ত্রককে ইতিমধ্যে অবহিত করা হয়েছে। ফরাক্কা ব্যারেজে গঙ্গা জলস্তর বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে, প্লাবিত হতে পারে ফরাক্কা, সামশেরগঞ্জ, সুতি সহ একাধিক এলাকা। আতঙ্কে ঘুম উড়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। অন্যদিকে, ফরাক্কার ব্লকের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করলেন জঙ্গিপুর মহকুমা শাসক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৌম্যজিৎ বড়ুয়া, ফারাক্কা ব্লকের বিডিও জুনায়েদ আহমেদ ও ফরাক্কা থানার আইসি নীলোৎপল মিশ্র সহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনের পাশাপাশি এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন তারা।