যদিও ডিভিসি দাবি করেছে যে রাজ্য সরকারের অনুমতি নিয়েই জল ছাড়া হয় এবং পলি অপসারণের বিষয়টিকে তারা ‘পলি পরিষ্কার নয়, নতুন ড্যাম নির্মাণই সমাধান’ বলে উল্লেখ করেছে। অন্যদিকে, রাজ্য সরকার বারবার পলি পরিষ্কারের দাবি করে আসছে। রাজ্য সরকার মনে করে যে ডিভিসি ও ফারাক্কা জলাধারে পলি জমে যাওয়ায় জল ধারণ ক্ষমতা কমে গেছে, যার ফলে অতিরিক্ত জল ছাড়তে হচ্ছে এবং এর ফলে রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে।
advertisement
রাজ্য সরকার কেন্দ্রকে সরাসরি নিশানা করে অভিযোগ করেছে যে, ডিভিসি পলি পরিষ্কার করে না। ডিভিসি দাবি করে যে তারা রাজ্য সরকারের সেচ দফতর থেকে অনুমতি নিয়েই জল ছাড়ে এবং এই অনুমতি নেওয়ার নথিও তাদের কাছে আছে। পলি জমে জলধারণ ক্ষমতা কমে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছে ডিভিসি। তবে তারা মনে করে যে এই সমস্যার সমাধান হল নতুন ড্যাম নির্মাণ করা, শুধু পলি পরিষ্কার করা নয়।
পলি জমে জলধারণ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় অতিরিক্ত জল ছাড়তে হচ্ছে বলে ডিভিসি দাবি করে। মেদিনীপুরের তৃণমূল সাংসদ জুন মালিয়ার লোকসভা কেন্দ্রকেও ফি বছর এই বন্যার দূর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়। বারবার কেন্দ্রের কাছে জল নিয়ন্ত্রণের দাবি করা হলেও তা করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ তাঁর। এই বিষয়ে কেন্দ্র যথাযথ পদক্ষেপ করুক। পলি নিষ্কাশন করুক। তার সবটাই উল্লেখ করেছেন সাংসদ জুন। যদিও কেন্দ্রের বক্তব্য রাজ্যকে জানিয়েই জল ছাড়া হয়।
