পোস্ট অফিসে সিকিউরিটি গার্ডের সাহায্যে অফিসে তালা খুলে ভেতরে ঢুকে দেখেন একটি দেওয়াল পাখা ওপর থেকে নিচে পড়ে রয়েছে এবং সেখান থেকেই বেরোচ্ছে ধোঁয়া যদিও সাধারণ মানুষের আমানতের বিভিন্ন কাগজপত্র যেখানে রয়েছে তার বেশ খানিকটা দূরে বারান্দায় ঘটেছে এই দুর্ঘটনা। তাদের অনুমান হয়তো অফিস বন্ধ করার পরেও অনবরত চলছিল এবং সেটি গরম হয়ে শর্ট সার্কিট হয়ে আগুন লাগতে পারে বলে প্রাথমিক অনুমান দমকল কর্মীদের। যেহেতু পোস্ট অফিসে একাধিক মূল্যবান নথিপত্র থাকে আগুন নেভানোর জন্য জল ব্যবহার করলে তা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে সেই কারণে তারা জলের পরিবর্তে এখানে গ্যাস দিয়ে আগুন নেভানোর সিদ্ধান্ত নেন। যদিও দমকল সূত্রমতে জানা যায় আগুন অফিসের ভেতরে ঢুকতে পারেনি অফিসের বাইরেই একটি কোনায় আগুন লেগেছিল।
advertisement
ইলেকট্রিকের তার বেয়ে আগুন ভেতরে গেলে ভয়ংকর অবস্থা হতে পারতকারণ একাধিক দাহ্য পদার্থ কাগজ দরজার কাঠ সহ বিভিন্ন জায়গায় আগুন লেগে সমস্ত নথি পোস্ট অফিসের পুড়ে যেতে পারত। যদিও দমকল কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে তারা। দমকল কর্মীরা জানাচ্ছেন অনেক সময় আমরা বাড়ির বাইরে গেলে প্রয়োজনীয় সুইচ বন্ধ করতে ভুলে যাই যার ফলে অনবরত কোন বৈদ্যুতিক যন্ত্র চলার পর সেটি গরম হয়ে শর্ট সার্কিট হয়ে আগুন লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল থাকে। সেই কারণেই তারা পরামর্শ দিচ্ছেন বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় অবশ্যই গ্যাস সহ বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ভালোভাবে বন্ধ করে তবেই যেতে।
যদিও এত বড় ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেও পোস্ট অফিসের দায়িত্বে থাকা পোস্টমাস্টার কে একাধিকবার ফোন করার পরেও শান্তিপুরে থাকলেও ঘটনা স্থলে তিনি সন্ধে আটটা পর্যন্ত এসে পৌঁছাতে পারিনি বলেই সূত্রের খবর।
মৈনাক দেবনাথ