বর্ধমান শহরের পুলিশ লাইনের অফিসার্স কলোনির কালী মন্দিরের ঠিক পাশেই রয়েছে লোকেশের এই স্টল, যেখানে বিক্রি হচ্ছে ফালুদা (Faluda)। রাজস্থানি স্বাদের ফালুদা পাওয়া যাচ্ছে পূর্ব বর্ধমানে । লোকেশের ঝুলিতে রয়েছে হরেক স্বাদের ফালুদা। নরমাল ফালুদা যেমন রয়েছে তেমনই রয়েছে ম্যাংগো ফালুদা, চকোলেট ফালুদা, পেস্তা ফালুদা, রাবড়ি ফালুদা । তালিকায় রয়েছে আরও অনেক জিনিস । ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০ টাকা পর্যন্ত দাম রয়েছে ফালুদার । দুপুর ১ টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত লোকেশের ফালুদার স্টলে ভিড় থাকে চোখে পড়ার মতো।
advertisement
আরও পড়ুন : নরম বিছানা নাকি শক্ত মেঝে? রাতে কোথায় ঘুমনো শরীরের জন্য উপকারী?
এই তীব্র দাবদাহে প্রাণ ওষ্ঠাগত সকলেরই। যদিও বৃষ্টি কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে মানুষকে। তবে রাস্তায় বেরিয়ে ঠান্ডা পানীয়তে গলা ভেজানো চাই। আর সেই তালিকায় যদি থাকে ফালুদা, তাহলে তো কোনও কথাই নেই। কারণ শুধু সাময়িক তৃপ্তি দেওয়া নয়, ফালুদায় যে যে উপকরণ থাকে তা আপনার চটজলদি পেট ভরিয়েও দিতে পারে। কারণ এতে থাকে সিমুই, ড্রাই ফ্রুট, আইসক্রিম কিংবা রাবড়ির টপিং।
আরও পড়ুন : এক বিশেষ কারণে এই বিরিয়ানির নাম ‘ইয়াখনি’! চলুন রকমারি বিরিয়ানির অন্দরমহলে
ফালুদা (Faluda) হল এমন একটি লোভনীয় পানীয়, যেটা একগ্লাস পান করে তৃষ্ণা মেটে না । গ্লাসের পর গ্লাস পান করতে ইচ্ছে করে । ইতিহাস বলে, ইরান বা পারস্য সম্রাট নাদির শাহের হাত ধরে ভারতে প্রবেশ করেছিল এই পানীয় । তবে মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরও নাকি এই পানীয় খুব পছন্দ করতেন । সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই পানীয় অনেক রূপ পরিবর্তন করেছে । ফলে আদতে এটি কোথাকার, সেটা এখন বলা মুশকিল । যদিও এই ফালুদা নিয়ে নানা জনের নানা মত । তবে এখন ফালুদা জনপ্রিয় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গাতেও। আর একই ভাবে জনপ্রিয় হয়েছে বর্ধমান শহরের লোকেশের ফালুদা।
( প্রতিবেদন : মালবিকা বিশ্বাস)