প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, সেকেন্দ্রাবাদ থেকে হাওড়াগামী ট্রেনটি এ দিন যখন বেলদা স্টেশনের কাছাকাছি ছিল, তখনই বিপত্তি ঘটে৷ চলন্ত ট্রেন থেকেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় একটি বাতানুকুল এবং দু'টি সাধারণ কামরা৷ বাকি বাইশটি কামরা নিয়ে প্রায় এক কিলোমিটার এগিয়ে যায় ইঞ্জিন৷ শেষ পর্যন্ত আপতকালীন ব্রেক কষে ট্রেন থামান চালক৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেলের ইঞ্জিনিয়ার ও আধিকারিকরা৷ ইঞ্জিন সমেত বাকি ট্রেনকে ফিরিয়ে এনে তিনটি কামরাকেফের জুড়ে দেওয়া হয়৷ এর পর খড়্গপুরের দিকে রওনা হয় ট্রেনটি৷
advertisement
আরও পড়ুন: ট্রেন ধরার জন্য হাতে সময় আছে? ঘুরে দেখতে পারেন হাওড়া স্টেশনে তাঁতের শাড়ির দোকান
ঘটনার জেরে প্রায় ৪৫ মিনিট আটকে থাকে ফলকনুমা এক্সপ্রেস৷ হাওড়াগামী ট্রেনটির এই বিপত্তির কারণে আপ এবং ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়৷ যার ফলে আটকে পড়ে অন্যান্য ট্রেনও৷
ট্রেনের গার্ড জনার্দন দাস বলেন, 'কীভাবে কাপলিং খুলে গেল বলতে পারব না৷ সেটা মেকানিক্যাল বিভাগ বলতে পারবে৷ তবে কাপলিং জুড়ে দেওয়া হয়েছে, এখন সব ঠিক আছে৷' ঘটনার জেরে ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে৷ এই বিপত্তির জন্য রেলের গাফিলতির দিকেই আঙুল তুলছেন যাত্রীরা৷ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে তমলুকের কাছেও একই ভাবে একটি মালগাড়ির কয়েকটি বগি চলন্ত ট্রেন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল৷
Shankar Rai