সূত্রের খবর, চিকিৎসক নরোত্তম হালদারের মা ক্যানসারের থার্ড স্টেজে ভুগছেন। মায়ের মানসিক পরিবর্তনের জন্য তিনি সপরিবারে আন্দামান ভ্রমণের পরিকল্পনা করেন। সেই অনুযায়ী বেলঘরিয়ার একটি ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রায় ২ লক্ষ ৪৭ হাজার ৮৬২ টাকা প্রদান করেন ভ্রমণ প্যাকেজের জন্য। কিন্তু যাত্রা শুরু হতেই একের পর এক সমস্যায় পড়েন চিকিৎসক ও তাঁর পরিবার।
advertisement
প্রথমে বিমানের টিকিট পরিবর্তন করে অন্য সংস্থার বিমানের টিকিট পাঠায় ওই এজেন্সি। আন্দামান পৌঁছনোর পর দেখা যায়, হোটেল বুকিং থেকে শুরু করে প্যাকেজের প্রতিশ্রুত সুবিধাগুলি— কিছুই বাস্তবে মিলছে না। বারবার যোগাযোগ করলেও প্রথমে ফোন ধরেনি এজেন্সি, পরে আবার অতিরিক্ত টাকার দাবি জানানো হয় বলে অভিযোগ। অবশেষে নিজেদের খরচে ভ্রমণ শেষ করে বাড়ি ফিরে এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করলে কোনও সদুত্তর মেলেনি।
অভিযোগ, প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা নেওয়া হলেও, বাস্তবে মাত্র ৭৯ হাজার ২৬৪ টাকা খরচ করেছে সংস্থাটি। সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ, ফেরার পথে ওই এজেন্সি যে বিমানের টিকিট দেয় তা সম্পূর্ণ ভুয়ো বা জাল টিকিট। ঘটনায় ক্ষুব্ধ চিকিৎসক নরোত্তম হালদার বলেন, “আমাদের সঙ্গে যেভাবে প্রতারণা হয়েছে, তেমন ফাঁদে আর যেন কেউ না পড়ে। প্রশাসন যেন দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নেয়।” চিকিৎসকের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।