অভিযোগ, কিছুদিন পর ওই মহিলা জানতে পারেন তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এরপরেই তিনি অভিযোগ জানান পুলিশের কাছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই অবশেষে সত্যি পুলিশের জালে। বড় অভিযোগে গ্রেফতার হল সিভিক ভলেন্টিয়ার।
advertisement
ভুয়ো পরিচয় দিয়ে প্রথমে সমাজমাধ্যমে বন্ধুত্ব,পরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার অভিযোগে পূর্ব বর্ধমানের এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করল বর্ধমান মহিলা থানার পুলিশ। ধৃতকে শনিবার বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। জানা গিয়েছে, ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম আজাহার হোসেন। বাড়ি কেতুগ্রামে।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে অভিযোগকারী মহিলা পশ্চিম বর্ধমানের একটি সরকারি হাসপাতালের কর্মী। শুক্রবারই তিনি বর্ধমান মহিলা থানায় অভিযোগ করেন।অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন,সমাজমাধ্যমে পরিচয় হওয়ার পরে তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে।
ধৃত নিজেকে রাজ্য পুলিশের ‘স্পেশাল কনস্টেবল’ বলে পরিচয় দিয়েছিল এবং তাঁর বাড়ি কলকাতা বলে অভিযোগকারিণীকে জানিয়েছিল। পরিচয় ও পেশা গোপন রেখে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে শারীরিক সম্পর্কও তৈরি করেছিল বলে অভিযোগ। প্রতারণা করার পাশাপাশি তাকে হুমকিও দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ করেন মহিলা।
পুলিশ সূত্রে খবর,গত ১৪ অক্টোবর ই-মেলের মাধ্যমে ওই মহিলা জেলা পুলিশের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। সেখানে তিনি দাবি করেছেন, ধৃত যুবক থানায় বাজেয়াপ্ত করা মোবাইল ব্যবহার করে কথা বলত, তেমনি বাজেয়াপ্ত মোটরবাইক নিয়ে ঘুরত। এমনকী পুলিশ পোর্টাল ব্যবহার করে মহিলার মোবাইল নম্বর ধরে সে কোথায় যাচ্ছে, কী করছে, তার খোঁজ নিয়ে নানাভাবে হুমকি দিত।
জেলা পুলিশ বিশেষভাবে তদন্ত করার পরেই ওই মহিলাকে অভিযোগ করার জন্যে বলে। শুক্রবার বর্ধমান মহিলা থানাতে এসে অভিযোগ জানায় অভিযোগকারিণী। সেই অভিযোগ পাওয়ার পরই ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
