হুবহু নকল। রয়েছে আরবিআইয়ের থ্রেডও। সঙ্গে স্টেট ব্যাঙ্কের স্ট্রিপ লাগানো। বৃহস্পতিবার খিদিরপুরের ফ্যান্সি মার্কেট থেকে ২ হাজার টাকার জাল নোটে উদ্ধার হয় প্রায় ৫৭ লক্ষ টাকা। পুলিশের জালে ধরা পড়ে পাঁচজন। তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। হাওড়ার বাউড়িয়াতেই দর্জির কাজের আড়ালে চলত জাল নোট ছাপানোর কাজ। পুলিশ সূত্রে খবর,
advertisement
-- বাউড়িয়ার রামেশ্বরবাটিতে জামাকাপড় তৈরির আড়ালে চলত জাল নোট ছাপার কাজ
-- প্রথমে ২ হাজার টাকার নোট স্ক্যান করা হত
-- এরপর অফসেট প্রিন্টারে ছাপানো হত নকল নোট
-- আলাদা করে বসানো হত আরবিআই-এর থ্রেড
-- নোটের বান্ডিলে ব্যবহার করা হত স্টেট ব্যাঙ্কের স্ট্রিপ
-- সৈয়দ রেহানের বাউড়িয়ার বাড়ি থেকে উদ্ধার প্রিন্টার, স্ক্যানার
সৈয়দ রেহানের জাল কারবারের সহযোগী শেখ একরাস আহমেদ, শেখ আবুল কালাম আজাদ ও মানোয়ার মোল্লা ওরফে উজ্জ্বল হাওড়ার বাসিন্দা। আরেক সহযোগী বলাই মণ্ডল বাঁকুড়ার বাসিন্দা। জাল কারবার নিয়ে ধৃতদের পরিবারগুলি অন্ধকারে ছিল বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
নোট বাতিলের দু'মাসের মাথায় প্রথম মালদহ। তারপর মুর্শিদাবাদ। এবার কলকাতা। ওয়াটগঞ্জ এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া এই বিপুল জাল নোট কারবারীদের সঙ্গে রাজ্যের বাইরের কারও যোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ধৃতদের সঙ্গে জঙ্গি যোগ রয়েছে কিনা তাও নজরে তদন্তকারীদের। ধৃতদের এদিন ১০ মার্চ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আলিপুর আদালত।