বর্ধমানের বাসিন্দা নন্দিতা সরকার বলেন, ‘বাজারে নকল মধু বিক্রি হচ্ছে শুনে আমরা আতঙ্কিত। শিশু জন্ম নেওয়ার পর তার মুখে মধু দেওয়া হয়। তাছাড়া শরীর সুস্থ রাখতে শিশু ও বয়স্কদের নিয়মিত মধু খাওয়ানো হয়। খাবারের স্বাদ ও পুষ্টি বাড়াতে আমরা মধু ব্যবহার করি। চড়া দামে তা কিনে সকলে মিলে যে আসলে বিষ খাচ্ছি তা ভেবেই অবাক হচ্ছি আমরা।’
advertisement
আরও পড়ুন- ফুটবল মাঠেও করোনা ভাইরাস থাবা, তারকা এই ফুটবলার হলেন প্রথম করোনা-র শিকার
পেশায় শিক্ষক শ্যামসুন্দর রায় বলেন, ‘বাজারে অনেক রকম মধু পাওয়া যায়। চাক ভাঙা মধু বলে বাড়িতে বাড়িতে অনেক কম দামে অনেকে মধু বিক্রি করতে আসে। হয়তো সে মধু খাঁটি। তবু ঝুঁকি না নিয়ে আমরা অনেকেই নামি কোম্পানির ওপর ভরসা রেখে অনেক বেশি দামে মধু কিনি। কিন্তু সে মধুও যে নকল তা ভেবে আমরা যথেষ্টই উদ্বিগ্ন। জানি না, আমরা না জেনে কত কি নকল খাবার খাচ্ছি।’
সম্প্রতি বর্ধমান শহর লাগোয়া বাজে প্রতাপপুরে নকল ঘি কারখানার হদিশ মিলেছিল। পচা মিষ্টি ও মিষ্টির পচা রসে রাসায়নিক মিশিয়ে তাতে ঘিয়ের এসেন্স দিয়ে তৈরি হতো সেই নকল ঘি। সেখানে সেসব সামগ্রী দিয়ে তৈরি হতো চকোলেট এমনকি বেবি ফুডও। সেই খবরে রাজ্য জুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। নকল ঘি কারখানার রেশ মেটার আগেই এবার নকল মধু কারখানার হদিশ মিলল। জেলার বাসিন্দাদের দাবি, কোথায় কি নকল কারখানা রয়েছে তা চিহ্নিত করে অবিলম্বে সেসব জাল কারবার বন্ধে উদ্যোগ নিক প্রশাসন।
Saradindu Ghosh