মছলন্দপুর স্টেশন লাগোয়া এলাকায় নকল ভেজাল কারখানায় হানা দিয়ে প্রায় এক হাজার লেবেল, বেশকিছু কৌটোবন্দী ও ব্যারেল ভর্তি ঘি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ । বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কারখানাটি । অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে এই ঘি তৈরি হচ্ছে বলে ডিইবি ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। ঘি তৈরির কোনওরকম লাইসেন্স বা অনুমোদন পত্র ছিল না অভিযুক্তদের কাছে । এখানে পাম তেল, নিম্ন মানের ডালডা ও টেস্টি ইমপ্রুভার ফ্লেভার ব্যবহার করা হত। সঙ্গে শিল্পে ব্যবহৃত রঙ ব্যবহার করা হত,ঘিয়ের আসল রং আনার জন্য।
advertisement
প্রতিদিন এই ঘি ১০০০ কেজির ওপরে প্রস্তুত করে বাজারে বিক্রি করত। এই ঘিয়ের অপকারিতা সম্পর্কে ,যাদবপুর বিশ্ব বিদ্যালয়ের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ বিভাগের অধ্যাপক গবেষক ডা. প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস জানান, ‘‘ঘি মানুষের শরীরের পক্ষে খুব ভাল। কিন্তু যদি কেউ অসৎ উপায়ে ঘি-এর মত কিছু প্রস্তুত করেন,তাহলে তাতে যে কোলেস্টরেল থেকে সেটি মানুষের শরীরের পক্ষে খুব খারাপ,হৃদ যন্ত্র বিকল হতে পারে। যে রঙ মেশানো হচ্ছে,তাতে টাইপ ২ কারসিনোজেন থাকে। যার ফলে ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। শিশুদের পক্ষে এটি ভয়ংকর ।’’
এই কারবারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত রাজু সর্দার ও বাপ্পা ঘোষ নামে হাবড়ার বাসিন্দা দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । ডিইবি-র তরফে ধৃতদের আজ, শনিবার দুপুরে তোলা হয় বারাসত আদালতে । বারাসত পুলিশ জেলার ডিইবি ইন্সপেক্টর তপন বসাক ও মছলন্দপুর ফাঁড়ির ওসি চিন্তামণি নস্করের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয় । পুলিশ সূত্রে খবর, দুধ থেকে তৈরি খাদ্য দ্রব্যের ওপর মানুষের দুর্বলতা সব সময়ের। চাহিদা অনুযায়ী আমাদের দেশে দুধের জোগান অনেকই কম। তাই সেই চাহিদা পূরণের সুযোগ নিয়ে একধরনের সামাজিক দুষ্কৃতীরা এই কাজ করে যাচ্ছে,বছরের পর বছর। প্রশাসনিক ভাবে নজর দারি চলছে। তদন্ত কারিরা মনে করছেন,আরও বেশ কিছু এই ধরনের ব্যবসায়ীরা রয়েছে, তারা খুব তাড়াতাড়ি ধরা পড়বে।
Shanku Santra