বাঁকুড়ার রাইপুর, মটগোদা, ফুলকুশমা, বকসী সহ একাধিক স্থানে বাজারে ছড়িয়ে রয়েছে জাল সিমেন্ট। তার প্রমাণ দেখুন হাতেনাতে, একটি নামজাদা প্রিমিয়াম সিমেন্ট কিনতে চাইলে যাচাই করে কিনুন, সেই কোম্পানির নাম দেখে থাকলে তবেই কিনুন, আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে যে কেন বলা হচ্ছে। সাম্প্রতিক উদাহরণ দিলে বুঝতে পারবেন বিষয়টি।
আরও পড়ুন: আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ! কার মদতে? তদন্তে পুলিশ
advertisement
বাঁকুড়ার ফুলকুশমা গ্রামে পাশাপশি বাড়ি বানিয়েছিলেন দুই ব্যক্তি। দু’জনেরই সিমেন্ট ছিল একটি নামজাদা কোম্পানির। কিন্তু সিমেন্টের বস্তার গায়ে মিউচুয়্যাল ফান্ড ডিস্ট্রিবিউটর ছিল আলাদা! যে ব্যক্তির সিমেন্টের বস্তার গায়ে কোম্পানির নাম লেখা ছিল, তার বাড়িতে কোনও সমস্যা দেখা যায়নি। কিন্তু পার্শ্ববর্তী বাড়ির মালিক যে বাড়ি বানান সেখানে ছিল অন্য একটি নাম, ওই ব্যক্তিকে বাড়ি ভেঙ্গে ফেলতে হল, কারণ ঢালাইয়ের চারদিন পরেও জমেনি বাড়ির ছাদ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অপরদিকে এই ঘটনা অবাক করে গিয়েছে ফুলকুসমা গ্রামের বাসিন্দাদের। গ্রামের মানুষ যথেষ্ট সচেতন হওয়ার চেষ্টা করছেন। কারণ কষ্টের ঘাম পায়ে ফেলে বাড়ি তৈরি করেন অনেকে, সে বাড়ি যদি জাল সিমেন্টের কারণে ভেঙে ফেলতে হয় তাহলে আর কথাই নেই। সেই কারণে চোখ কান খুলে যাচাই করে কিনুন সিমেন্ট।