তিন বছর আগে বিশ্বনাথ নাগের সঙ্গে ফেসবুকে আলাপ মৌসুমী ভট্টাচার্যের। ভারত কোকিং কোল লিমিটিডের কর্মী বিশ্বনাথের বাড়ি ধানবাদের ঝরিয়া থানা মোড়ে। আর দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে স্বামীর সঙ্গে থাকতেন মৌসুমী। বন্ধুত্ব থেকে শুরু হলেও, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দু'জনের সম্পর্ক ক্রমেই বাড়তে থাকে। একসময়ে যে বন্ধুত্বের পরিণতি হল মৃত্যু। মঙ্গলবার মৌসুমীর দুর্গাপুরের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বিশ্বনাথের ঝুলন্ত দেহ। পরিকল্পনা করেই দাদাকে খুন করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে ৷
advertisement
বিশ্বনাথ-মৌসুমীর সম্পর্ক
- চার বছর ধরে বিসিসিএল-এ কর্মরত ছিলেন বিশ্বনাথ
- মৌসুমীর স্বামী শান্তনু ভট্টাচার্য একটি বেসরকারি মোবাইল সংস্থায় চাকরি করতেন
- বছর খানেক আগে চাকরি খোয়ান তিনি
- এরপরই বিশ্বনাথ মৌসুমীকে আর্থিকভাবে সাহায্য করতেন বলে পুলিশের দাবি
- সন্তানের পড়াশোনা থেকে শুরু করে স্কুটি কেনার টাকা, সবই জোগাতেন বিশ্বনাথ
বিশ্বনাথের বাড়ি ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ জেলার ঝরিয়া থানা মোড়ে ৷ বিশ্বনাথ BHARAT COKING COAL LIMITED-এ ৪ বছর চাকরি করছেন ৷ মৌসূুমীর স্বামী শান্তনু বেসরকারি মোবাইল সংস্থায় কাজ করতেন ৷ গত এক বছর ধরে কাজ নেই ৷ তার সংসার খরচ চালাতেন বিশ্বনাথই ৷ বান্ধবীর বাড়িতে যাতায়াত ছিল ৷ মাঝেমধ্যে থেকেও যেতেন সেখানে ৷ বাড়ি থেকে অফিসের কাজে যাচ্ছিলেন বলে আসেন ৷ শনিবার দুর্গাপুরের বাড়িতে আসেন ৷ মঙ্গলবার ওড়না গলায় ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় বিশ্বনাথের ৷