ধৃত যুবকের নাম অনুপ কর্মকার। তাঁর বাড়ি নদিয়ার ভীমপুরের ময়দানপুর এলাকায়। সম্প্রতি, বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট এলাকার ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার মহিষবাথান এলাকার একটি বাড়ি থেকে ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ অভিযুক্তের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে। বৃহস্পতিবার তাঁকে বর্ধমান সিজিএম আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাঁকে দুদিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: শোভনদেবের ফোন ধরবেন না শুভেন্দু, দাবি আদায়ে দিল্লিতে একাই লড়বে তৃণমূল!
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ফেসবুকে আউসগ্রামের এক মহিলার সঙ্গে পরিচয় করে অনুপ। ধীরে ধীরে তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। অনুপের সঙ্গে কয়েকবার দেখাও করেছিলেন ওই মহিলা। অভিযোগ, সেই সময় মহিলার সঙ্গে কাটানো গোপন মুহূর্তের বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও তুলে রেখেছিল অনুপ। এরপরে, ওই মহিলার নামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে সেই সব ছবি এবং ভিডিও পোস্ট করে থাকে সে। এমনকি, মেসেঞ্জার গ্রুপ তৈরি করেও ছবিগুলি সেখানে ছড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: অন্যের নিয়োগপত্র জালিয়াতি করে চাকরি শিক্ষকের! হাইকোর্ট বলল, 'স্কুলের পড়ুয়াদের অবস্থা শুধু ভাবছি,'
বিষয়টি জানতে পেরে ওই মহিলা সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তারপরে অভিযুক্তের মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন খতিয়ে দেখে তাঁর হদিস মেলে।
তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা অভিযোগ দায়ের করার পরেই গা ঢাকা দিয়েছিলেন অনুপ। এরপর, তিনি বর্ধমান জেলা জজ আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানান। কিন্তু সেই আবেদন নাকচ হয়ে যায়। তারপরে হাইকোর্টে গেলেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। এরপরেই বিধাননগর পুলিশ কমিশনারের এলাকা থেকে অনুপকে গ্রেফতার করে পুলিশ।