রবিবার এই স্থল বন্দরের ছয়ঘড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার জয়ন্তীপুরের বাসিন্দারা পথ অবরোধ শুরু করে। তাদের দাবি সীমান্ত শহর বনগাঁকে করোনা মুক্ত রাখাতে পেট্রাপোল সীমান্তে আমদানি ও রফতানি বন্ধ করতে হবে l স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি ছিল বাংলাদেশের বেনাপোলে করোনার প্রকোপ বেড়েছে। এমন কি বাংলাদেশের সীমান্ত জেলা যশোডরজুড়ে করোনা ভাইরাস দ্রুত ছড়াচ্ছে। ফলে পেট্রাপোল বেনাপোল সীমান্তে আমদানি ও রফতানি চললে বাংলাদেশের নাগরিকরা সীমান্তে আসবে। ওপারে পণ্য খালাস করতে গিয়ে এদেশের নাগরিক সংক্রমিত হলে তা আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তাদের। আর তার জেরে বনগাঁ মহাকুমা করোনার ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে l সাধারণ মানুষ এবং শ্রমিকদের আন্দোলনের জেরে তিনদিন বাণিজ্য চলার পরেই বন্ধ হয়ে যায় বেনাপোল-পেট্রোপোল স্থল বন্দরে বাণিজ্য l
advertisement
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়া করোনা যাতে বনগাঁতে কোনরকম প্রভাব না ফেলতে পারে সেই কারণেই আমরা রফতানি বন্ধের জন্য বিক্ষোভ করেছিলাম l যতদিন লকডাউন চলবে ততদিন রফতানি বন্ধ রাখার জন্য আবেদন জানিয়েছেন তারা l এদিন সকালে আন্দোলনকারীরা জয়ন্তীপুরের কাস্টমস অফিস ও কোয়ার্টার্সের গেটে তালা লাগিয়ে দেয় সকাল ১০:৩০ নাগাদ। বনগাঁ পেট্রাপোল রোডে গাছেরগুড়ি ফেলে মহিলারা পথ অবরোধ শুরু করে। পরে প্রশাসনের উদ্যোগে কাস্টমস গেটের তালা খোলা হয়। পেট্রাপোল সীমান্তে কাস্টমস এর সুপারিন্টেন্ডেন্ট জয়ন্ত কুমার মন্ডল বলেন স্থানীয়রা গেটে তালা মেরেছিল পরে খুলেও দেয়।পুরো বিষয়টির উপরের কর্তাদের জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
ছয়ঘড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রসেনজিৎ ঘোষ জানালেন করোনা আতঙ্কের জেরেই সাধারণ মানুষ আন্দোলনে নেমেছিল l সাধারণ মানুষের চাহিদা মতই পেট্রাপোল সীমান্তে রবিবার থেকে রফতানি বন্ধ হয়েছে l ক্লিয়ারিং এজেন্ট সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তীর দাবি সাধারণ মানুষের দাবি মেনে রফতানি চালু হওয়ার পরেও আমরা ব্যবসা বন্ধ করে রাখতে বাধ্য হয়েছি l পরবর্তীতে প্রশাসন যা ব্যবস্থা নেবে সেই অনুসারে ব্যবসা চলবে l