মলমাস পেরিয়ে এসেছে আষাঢ়। বিয়ের মরশুমে চাহিদা তুঙ্গে গোলাপ, বেল, জুঁইয়ের। আর গাঁদার বাজার তো সারা বছরই থাকে। তবুও মুখে হাসি নেই বাগনানের ফুলচাষিদের। গাছে গাছে কুঁড়ি এলেও ফুল ফুটছে না। রোদের তাপে ঝরে যাচ্ছে। কিছু ফুল মাঠ থেকে বাজার অবধি পৌঁছচ্ছে ঠিকই। কিন্তু ক্রেতাদের হাতে যাওয়ার আগেই পচে যাচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: কলকাতায় বইবে লু, তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা পশ্চিমের জেলাগুলিতে
বাধ্য হয়েই গাছ থেকে কুঁড়ি তুলে নিচ্ছেন চাষিরা। ফুলের খেতে নিয়মিত জলও দেওয়া হচ্ছে। তাতেও ক্ষতি এড়ানো যাচ্ছে না। প্রচণ্ড গরমে চাষের কাজ করতেও কষ্ট হচ্ছে প্রবল।
ফুলচাষি অশোক খাঁড়া জানালেন, ‘কাজ করতে পারছি না। গরমে গাছের ক্ষতি প্রচণ্ড হচ্ছে। গাছে মাত্র একটা-দুটো করে ফুল হচ্ছে।’
ফুলচাষি বিশ্বজিৎ বেরা বললেন, পোকার উপদ্রব বাড়ছে। ফুল কালো হয়ে কুঁকড়ে যাচ্ছে। চাষিদের খরচ উঠছে না।’
আরও পড়ুন: কলকাতায় বাড়বে গরম, বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই
বাগনানের দেউলটি, ঘোড়াঘাটা, বাকুদহ, বাঁশবেড়িয়ার কয়েক একর জমিতে ফুলচাষ হয়। এখানকার গোলাপ, জবা, দোপাটি, জুঁই হাওড়া, কলকাতার বিভিন্ন বাজারে চড়া দামে বিকোয়। এবারও বিয়ের মরশুমে ভাল রোজগারের আশা করেছিলেন বাগনানের ফুলচাষিরা। প্রকৃতির কোপে এখন দিন কাটছে আশঙ্কায়। বৃষ্টির অপেক্ষায় দিন গুনছেন তাঁরা।