সূত্রের খবর, গতকাল পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করে দীর্ঘ সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং রাতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। তবে অভিযুক্তের দাবি, তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ এবং ষড়যন্ত্রের শিকার। তার বক্তব্য, চাঁদা না দেওয়ার কারণেই তাকে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন যে, শান্তিপুর থানার তিনজন সিভিক ভলেন্টিয়ার এবং কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে।
advertisement
এলাকায় উত্তেজনা ও বিক্ষোভ
এই ঘটনার পর শান্তিপুরে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ক্ষুব্ধ জনতা অভিযুক্ত প্রাক্তন পুলিশ কর্মীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, অভিযুক্ত দীর্ঘদিন ধরেই মহিলাদের কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন, কিন্তু এতদিন তিনি পুলিশ কর্মী হওয়ার কারণে কেউ প্রকাশ্যে কিছু বলার সাহস পাননি। তবে এই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করছে পুলিশ।
পুলিশি তদন্ত ও পরবর্তী পদক্ষেপ
অভিযোগের ভিত্তিতে শান্তিপুর থানার পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে আর কেউ যুক্ত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, সিসিটিভি ফুটেজ এবং স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান সংগ্রহ করা হচ্ছে।
এই ঘটনা নিয়ে শান্তিপুরের সাধারণ মানুষ দ্বিধাবিভক্ত। একদিকে, অনেকে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন, অন্যদিকে, তার সমর্থকরাও সোচ্চার হয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায়, সে জন্য এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।