এবছর কাজের চাপ এত বেড়েছে যে পরিবারের চার সদস্যই এই শোলার কাজ করছেন। আগে এই কাজ করে তেমন উপার্জন হত না। তবে এখন পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ছড়িয়েছে সুনাম। ফলে বেড়েছে বরাত। স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে উপার্জন।
আরও পড়ুন : যশোর রোডে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা, বাসের তলায় প্রাণ গেল স্কুটি চালকের! দোষ কার? যা বলছেন বাসিন্দারা
advertisement
এই গ্রামের সবথেকে প্রবীন ব্যক্তি রীবন্দ্রনাথ হালদার। তাঁর কাছ থেকেই কাজ শিখেছেন অনেকেই। সেজন্য তিনি এই গ্রামের সম্মানীয় ব্যক্তি। তবে তিনি একচোখে দেখতে পান না। সেই প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে নিজের জেদের বশেই মন্দিরবাজারে এখনও ৮২ বছর বয়সে প্রতিমার সাজসজ্জা তৈরি করেন তিনি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বাঁ-চোখ ছোটবেলায় নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। কিন্ত ডান চোখে ভরসা করে শোলা দিয়ে দেবীমূর্তির গয়না, সাজসজ্জা তৈরির কাজ করেন তিনি। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে এই সাফল্য মেলায় খুশি তিনি। সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে দূরে সরিয়ে শোলা শিল্পকে যে একটি যায়গায় নিয়ে যাওয়া যায়, তা শেষ বয়সে এসে দেখিয়ে দিলেন মন্দিরবাজারের মহেশপুরের রবীন্দ্রনাথ হালদার। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এই শোলার কাজ করে যেতে চান বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনিও অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন অনেকের কাছেই।