পরবর্তীকালে রবি ঠাকুর তাঁর সঙ্গীতের সঙ্গে সংযোজন করেন এই এসরাজের সুর। আর ভারতীয় এসরাজ বাদক ও সঙ্গীত পরিচালক নামে জনপ্রিয় ছিলেন রোশন লাল নাগরাথ। রোশন লাল নাগরাথ ছিলেন অভিনেতা হৃতিক রোশনের পিতামহ। বর্তমানে এক প্রকার বিলুপ্ত প্রায় হয়ে উঠেছে এসরাজ। দুর্গাপুরে এর চর্চা প্রায় হয়না বললেই চলে। একদিকে নতুন প্রজন্মের মধ্যে যেমন নেই শেখার আগ্রহ, তেমনই অমিল উপযুক্ত প্রশিক্ষকের।তবে দুর্গাপুরের সেপকো টাউনশিপের বাসিন্দা সঞ্জিতবাবু দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে এখনও এসরাজের চর্চা করে চলেছেন।
advertisement
আরও পড়ুন : পুজো তো নয়, যেন ভোজবাড়ি! গ্রামবাসীদের জন্য থাকে ৫২ ভোগ, এখানে যজ্ঞ না দেখলে বড় মিস
কিন্তু প্রচারের আলোয় আসেননি কখনও। কিন্তু বর্তমানে নতুন প্রজন্মের মধ্যে এই যন্ত্র বাজানোর প্রবণতা তৈরি করতে তিনি রবীন্দ্র-নজরুল গীতির পাশাপাশি আধুনিক গানেও এসরাজের সুর তুলছেন। বছর ৫০’র সঞ্জিতবাবু ছোট থেকেই তবলা ও হারমেনিয়াম সহ সঙ্গীত চর্চায় আসক্ত ছিলেন। সেই মত তিনি সুখ্যাত তবলা বাদক হয়ে ওঠেন। ক্লাসিক্যাল সঙ্গীত চর্চাতেও তিনি মাহির। কলকাতা দূরদর্শনে তিনি দীর্ঘদিন ধরে তবলা বাদক হিসেবে কাজ করে চলেছেন। কিন্তু এরই মধ্যে বাদ্যযন্ত্র সারেঙ্গীর সুর তাঁকে অনুপ্রাণীত করে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কিন্তু সারেঙ্গী শেখার বয়স তখন তাঁর অতিক্রম হয়ে গিয়েছিল। তাই সেতার ও সারেঙ্গীর মিশ্রণে তৈরী এসরাজ চর্চায় মনযোগ দেন তিনি। দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছর ধরে চর্চা করে তিনি বর্তমানে সুখ্যাত এসরাজ বাদক হয়ে উঠেছেন। রবীন্দ্র সঙ্গীত থেকে নজরুল সঙ্গীতের নানান অনুষ্ঠানে তিনি এখন এসরাজ পরিবেশন করেন। এসরাজ বাদক হিসেবে সঞ্জিতবাবু দুর্গাপুরের গর্ব বলে দাবি করেছেন জনপ্রিয় বাউল শিল্পী তথা লোকবাদ্য যন্ত্রের দক্ষ প্রশিক্ষক জীবন কিশোর চট্টোপাধ্যায়। বর্তমানে সঞ্জিতবাবু এসরাজের প্রশিক্ষণও দিচ্ছেন। নতুন প্রজন্ম বিলুপ্তপ্রায় এই যন্ত্রের প্রতি আকৃষ্ট হবে বলে তিনি আশাবাদী।