যাত্রীদের প্রশ্ন, যদি না-ই চলবে তবে তা রাখা কেন? এত টাকা খরচ করে তা বসানোই বা হয়েছিল কেন? বর্ধমান অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি জংশন। বহু দূরপাল্লার ট্রেন এই স্টেশন দিয়ে যাতায়াত করে। এছাড়াও চলে অসংখ্য লোকাল ট্রেন।
আরও পড়ুন- বর্ধমান ‘অমৃত ভারত’ স্টেশনে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা! ৩ জনের মৃত্যু! কেমন আছেন আহতরা?
advertisement
প্রতিদিন লক্ষাধিক যাত্রী এই স্টেশন দিয়ে যাতায়াত করেন। তার মধ্যে বয়স্ক, বিশেষভাবে সক্ষম যাত্রীরাও রয়েছেন। দূরপাল্লার ট্রেনের যাত্রীদের সঙ্গে ভারি লাগেজ থাকে। রয়েছেন বিশেষভাবে সক্ষম যাত্রীরাও। সকলের সুবিধার জন্যই বসানো হয়েছিল চলমান সিঁড়ি। কিন্তু সেই সিঁড়ি বেশিরভাগ সময় বন্ধ থাকায় দুর্ভোগের একশেষ হতে হচ্ছে সকলকেই।
বর্ধমান স্টেশনে এক প্ল্যাটফর্ম থেকে অন্য প্ল্যাটফর্মে যাওয়ার মূল মাধ্যম হল ফুট ওভার ব্রিজ। তিনটি ফুট ওভারব্রিজ থাকলেও মূল একটি ওভারব্রিজ সব প্ল্যাটফর্মের ওপর দিয়ে গিয়েছে। সেই ফুট ওভার ব্রিজ থেকে প্ল্যাটফর্মে ওঠা বা নামা যায়। এতে যাত্রীদের সিঁড়ি ভাঙার দুর্ভোগ কমে।
অভিযোগ, বেশিরভাগ সময়ই এই চলমান সিঁড়িগুলি বন্ধ থাকে। তখন এই সিঁড়ি দিয়েই শত শত যাত্রীকে একসঙ্গে ওঠানামা করতে হয়। তার জেরে হুড়োহুড়ি, দুর্ঘটনা নিত্যদিনের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন- হাড় কাঁপানো প্রচণ্ড ঠান্ডা! আগামীদিন কেমন থাকবে আবহাওয়া,চমকে দেওয়া আপডেট
যাত্রীরা বলছেন, যাত্রী স্বার্থে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়ে থাকে রেল। অথচ যেগুলি রয়েছে সেগুলিকেও সঠিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে না। তার ফলে যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ছে।
বুধবার বর্ধমান রেল স্টেশনের দুই ও তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মে শতাব্দী প্রাচীন জলাধার ভেঙে পড়ে। তাতে তিনজনের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
এই ঘটনায় রেলের গাফিলতিকেই দায়ী করছেন যাত্রীরা। এরপরই যাত্রীদের কথায় অস্বাচ্ছন্দ্যের নানা প্রসঙ্গ উঠে আসছে। তার মধ্যে অন্যতম হয়ে উঠেছে এই চলমান সিঁড়ি কাজ না করার বিষয়টি।