হঠাৎ করে হাতি সামনে চলে আসায় পালাতে গিয়ে আহত হয় দুই ব্যক্তি। তাঁদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে।বৃহস্পতিবার ভোর রাতে লালগড় রেঞ্জের থেকে দুটি স্ত্রী হাতি ও একটি পুরুষ হাতি মোট তিনটি হাতি কংসাবতী নদী পেরিয়ে চলে আসে ঝাড়গ্রামের দিকে। দুটি স্ত্রী হাতি নদী পেরিয়ে পুনরায় লালগড় রেঞ্জে ফিরে যায় ও পুরুষ হাতিটি চলে আসে রাধানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের কন্যাডুবা গ্রামে।
advertisement
হাতির খবর চাউর হতেই ভিড় জমে যায় মানুষের। মানুষের চিৎকার শুনে হাতি উগ্র হয়ে পড়ে। মানুষ দেখলেই তাড়া করতে শুরু করে হাতিটি। বাজিপটকা ফাটিয়ে হাতিটি অন্যদিকে অন্যত্র সরানোর চেষ্টা করে গ্রামবাসীরা। রাধানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের কন্যাডুবা , বেতকুন্দ্রী, দামডাঙ্গা গ্রাম হয়ে নহরখাল পেরিয়ে ঝাড়গ্রাম পৌরসভার ৪ নাম্বার ওয়ার্ডের নামজামদা এলাকার সংলগ্ন পশ্চিম পচাখালী গ্রামে হাজির হয়। পশ্চিম পচাখালী গ্রামে ঝোপঝাড় থাকায় সেখানেই আশ্রয় নিয়েছে হাতিটি।মাঝে মধ্যে ঝোপঝাড় থেকে বেরিয়ে ধান রোপণের জমিতে জল পান করার পাশাপাশি কাদা ও জল গায়ে মাখতে শুরু করে দাঁতাল হাতিটি।
আরও পড়ুনঃ KKR News: কেকেআরের অধিনায়ক চলে এলেন কলকাতায়! কারণটা কী? জানুন বিস্তারিত
ঘটনাস্থলে রয়েছে বন দফতরের কর্মীরা এবং ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ তারা সাধারণ মানুষকে এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। ঝাড়গ্রামের ডিএফও ওমর ইমাম জানিয়েছেন,হাতিটি এই এলাকায় আসার পরেই বন দফতরের কর্মী এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি হাতি যেখানে রয়েছে সে জায়গাটি থেকে মানুষের ভিড়কে অন্যত্র সরানোর জন্য। এখনও পর্যন্ত হাতি হানায় কেউ আহত হয়নি। হাতি দেখতে গিয়ে পড়ে দু’জন আহত হয়েছে কিন্তু হাতির দ্বারা আহত হয়নি।
বুদ্ধদেব বেরা