স্থানীয়রা হাতিটিকে বসে থাকতে দেখতে পান। এরপর গ্রামবাসীরা আসে ছুটে আসেন। দুপুর দুটো নাগাদ বন দফতরে খবর দেওয়া হয়। বনকর্মীরা জঙ্গলে দেখতে পায় হাতিটি বসে রয়েছে। তখনও পর্যন্ত হাতিটি মারা যাওয়া বিষয় সম্পর্কে তারা নিশ্চিত হতে পারেননি। কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণ করার পরেই তারা বুঝতে পারেন, হাতিটি মারা গিয়েছে। হাতির দেহ উদ্ধারের কাজ শুরু করে বন দফতর। শিকল দিয়ে বেঁধে জেসিবির সাহায্যে হাতিটির দেহ উদ্ধার করে ট্রাক্টরে করে অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: গ্রীষ্মের শুরুতেই জল সংকট ঝাড়গ্রামের এই এলাকায়! কবে মিলবে মুক্তি! যা জানাল জেলা পরিষদ
খড়গপুরের ডিএফও মণিশ যাদব বলেন “প্রায় ১৫ বছর বয়সী দাঁতাল হাতিটি যেমন ভাবে বসে ছিল তাতে প্রথমে দেখে বোঝা যায়নি হাতেটি মারা গিয়েছিল। পরে আমরা বুঝতে পারি হাতিটি মারা গেছে। তারপর তার ময়নাতদন্ত করা হয়। শরীরের বাইরে কোন ক্ষত ছিল না। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুসারে মৃত্যুর কারণ হিসেবে ডিহাইড্রেশনের কথা বলছেন চিকিৎসকরা। এসওপি মেনেই হাতির দাঁত কেটে পুড়িয়ে ফেলা হবে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
জঙ্গলমহলের বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে রয়েছে দলমার বেশ কিছু দাঁতাল হাতি। মাঝে মধ্যে এখানে হাতির আক্রমণে সাধারণ মানুষ মারা যায়। আবার কখনও হাতির মৃত্যু হয় মানুষের ভুলের কারণেও। তবে এই মৃত্যু কীভাবে ঘটল তা খতিয়ে দেখা হবে বলে বন দফতর সূত্রে খবর।
বুদ্ধদেব বেরা