বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার নয়াগ্রাম রেঞ্জের রাঙ্গিয়াম এলাকায় অসুস্থ হাতিটির চিকিৎসা শুরু করেন। রাঙ্গিয়াম এলাকার ধান জমির সংলগ্ন একটি মাঠে ত্রিপল টাঙ্গিয়ে চিকিৎসা শুরু করা হয়। হাতিটি স্যালাইন-সহ বিভিন্ন ওষুধ দেওয়ার পর চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিল হাতিটি। একটু সুস্থ হওয়ার পর শুক্রবার হাতিটিকে ক্রেনের সাহায্যে রাঙ্গিয়াম এলাকার মাঠ থেকে তুলে পাঁচকাহানিয়া বীট অফিসে নিয়ে আসা হয়। এবং সেখানেই চিকিৎসা চচলাকালীন শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টা নাগাদ মৃত্যু হয় হাতিটির।
advertisement
আরও পড়ুন: খোসা-সহ আপেল খেলে কী হয়? খোসা ছাড়িয়ে খাওয়া কি উপকারী! জানুন কোনটা খাওয়া ভাল
শনিবার সকাল দশটা নাগাদ মৃত হাতিটির ময়নাতদন্ত শুরু করেন চিকিৎসকেরা। তবে কী কারনে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে তার সঠিক কারণ এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। এদিকে এই হাতিটির মৃত্যুর পরেই বনদফতরের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলছেন বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ প্রায় এক সপ্তাহ আগে থেকেই হাতিটিকে অসুস্থ অবস্থায় ঘোরাঘুরি করতে দেখে বনদফতরকে খবর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় বনদফতর দ্রুত হাতিটির চিকিৎসা শুরু করেননি।
আরও পড়ুন: মর্মান্তিক! গাড়ি চাপা পড়ে বিরল প্রজাতির কচ্ছপের মৃত্যু
যদিও বনদফতরের দাবি হাতিটি অসুস্থ হওয়ার খবর পাওয়ার পরেই চিকিৎসা শুরু হয়েছিল। এবিষয়ে খড়্গপুর ডিভিশনের ডিএফও শিবানন্দ রাম বলেন, ” চিকিৎসকেরা চিকিৎসা করছিলেন হাতিটির সেই সময় হঠাৎ করে মৃত্যু হয়। চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। তবে হাতিটির কী কারণে মৃত্যু তার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর জানা যাবে হাতি মৃত্যুর সঠিক কারণ।”
রাজু সিং