চালক হঠাৎ দেখতে পায় রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে রয়েছে দাঁতাল হাতি। গাড়ির লাইট আপার-ডিপার করেও এবং হর্ন বাজিয়েও কোনও লাভ হয়নি চালকের। রাস্তা থেকে সরতে নারাজ দাঁতাল হাতিটি। লরি আটকানোর পর শুঁড় দিয়ে লরির তল্লাশি শুরু করে। আলু বোঝাই দেখে শুঁড় দিয়ে লরি থেকে একটি আলু রাস্তায় নামিয়ে নেই হাতিটি। লাথি মেরে ফাটিয়ে দেয় বস্তা। নিজের মনের আনন্দ প্রায় ১০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে আলু খেতে থাকে হাতিটি। হাতি আলু খেতে ব্যস্ত থাকায় একটু সুযোগ পেতেই গাড়ি নিয়ে চম্পট দেয় লরির চালক।
advertisement
আরও পড়ুন: লক্ষ্য ৩৪ এ ৩৪! নিউটনের তৃতীয় গতিসূত্র প্রয়োগ ঝাড়গ্রাম জেলা বিদ্যালয় ক্রীড়া সংসদের
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
জঙ্গলে দলহাতি থাকায় লালগড় রেঞ্জের তরফ থেকে হাতির গতিবিধির উপর নজরদারি রয়েছে। ঘটনাস্থলে বন দফতরের কর্মীরা উপস্থিত থেকেও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। হাতি দেখে রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়ে ছিল অন্যান্য গাড়িগুলিও। আলু খাওয়া হলে নিজেই জঙ্গলে চলে যায় হাতিটি। হাতি জঙ্গলে ঢুকে পড়তেই স্বস্তি পায় বন দফতর। তার পাশাপাশি রাস্তায় যান চলাচলের স্বাভাবিক হয়।
দলহাতির হানায় লালগড় এলাকায় ব্যাপক আলু চাষের ক্ষতি হচ্ছে। এই অভিযোগ তুলে কয়েক দিন আগে গ্রামবাসীরা একজোট হয়ে লালগড় রেঞ্জের ভাউদি বিটে তালা ঝুলিয়ে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখিয়েছিল। কিন্তু আলুর স্বাদ মুখে লাগায় এলাকা ছাড়তে চাইছে না হাতির দল বলেও জানা গিয়েছে।
বুদ্ধদেব বেরা