জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে হাতির হানায় মৃত্যু হয় এক বৃদ্ধের। পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনী ব্লকের মালিদ গ্রামে খাবারের খোঁজে ঘুরে বেড়াচ্ছিল একটি দলবিচ্ছিন্ন বা লোনার হাতি। এদিকে, রাত্রি একটা নাগাদ বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিলেন বছর ৬৫-র হরেন রায়। অন্ধকারের মধ্যে দলবিচ্ছিন্ন ওই হাতি হরেনকে আক্রমণ করলে গুরুতর জখম হন তিনি।আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
advertisement
বৃহস্পতিবার বিকেল নাগাদ মৃত হরেন বাবুর বাড়িতে গিয়ে তাঁর স্ত্রী ললিতা রায়ের হাতে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের চেকও তুলে দেওয়া হয়েছে মেদিনীপুর বনবিভাগের অধীন পিড়াকাটা রেঞ্জের তরফে। উপস্থিত ছিলেন রেঞ্জ অফিসার শুভজিৎ রায়। রাজ্য সরকারের নিয়ম মেনে মৃতের পরিবারের এক সদস্যকে চাকরিও দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শুভজিৎ। তিনি এও বলেন, মৃতের পাঁচ ছেলে আছে। পরিবারের তরফেই ঠিক করবেন, চাকরি কে পাবেন। অন্যদিকে, পিড়াকাটা রেঞ্জের অধীন বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা জানান, বর্তমানে জঙ্গলমহলের সবচেয়ে বড় সমস্যা হাতি। রাত বাড়লেই হাতি তাণ্ডব চালাচ্ছে। চাষের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে। ভাঙছে বাড়ি-ঘর। ঘটছে মৃত্যুও।
বন বিভাগ সূত্রে খবর, গত দু’মাসের মধ্যেই শালবনী ব্লকের দু’জন বাসিন্দা প্রাণ হারালেন হাতির হামলায়। গত তিন জুন রাতে মেদিনীপুর বনবিভাগের আড়াবাড়ি রেঞ্জের মিরগা বিটের অধীন শালবনী ব্লকের বাঘপিছলা গ্রাম সংলগ্ন জঙ্গলে মহিষ খুঁজতে গিয়ে একটি দলছুট দাঁতালের আক্রমণে মৃত্যু হয় বঙ্কিম মাহাত (৫২)-র। গুরুতর জখম হন তাঁর ভাই কালীপদ মাহাত (৪৯)। বুধবার রাতে ফের শালবনী ব্লকের পিড়াকাটা সংলগ্ন মালিদা গ্রামের হরেন রায় (৬৫)-র মৃত্যু হল। বন দফতর জানিয়েছে, হাতির হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে জঙ্গলমহলবাসীদের আরও সতর্ক হতে হবে।