দোতালা পাকা বাড়ি অথচ সেই বাড়িতেই ইলেকট্রিক চলছিল অবৈধভাবে। বিধায়কের শ্বশুরবাড়িতে অবৈধভাবে চলছে ইলেকট্রিক।রাস্তার ইলেকট্রিক পোল থেকে হুকিং করে চালানো হচ্ছিল ইলেকট্রিক। পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষে তাঁতীপাড়ার ঘটনা। বিধায়ক নবীন চন্দ্র বাগের দুই শ্যালক থাকেন দোতলা বাড়িতে। শ্বশুর ও শাশুড়ি থাকেন পাশের একটি মাটির বাড়িতে। পাকা বাড়ির পাশাপাশি মাটির বাড়িতেও রাস্তার ইলেকট্রিক পোস্ট থেকে অবৈধভাবে ইলেকট্রিক নেওয়া হয়েছে। খণ্ডঘোষের বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাগ। তাঁর শ্বশুরবাড়িতেই চলছে অবৈধভাবে ইলেকট্রিক। আর এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
advertisement
বিধায়ক নবীন চন্দ্র বাগের শাশুড়ি সুমিত্রা রায় স্বীকার করে নেন, হুকিং করে বিদ্যুৎ নেওয়া ঠিক নয়। এখনই খুলে নেওয়া হবে। বিধায়কের শ্যালক অভিজিত রায় সাফাই দিয়ে বলেন, বিদ্যুতের মিটার খারাপ হয়ে গিয়েছিল। তাই হুকিং করে বিদ্যুত নেওয়া হচ্ছিল। তা খুলে ফেলা হবে। এ ব্যাপারে খন্ডঘোষের বিধায়ক নবীন চন্দ্র পাল সংবাদ মাধ্যমের কাছে বলেন, ওটা শ্বশুর বাড়ির ব্যাপার। এর সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। তারা অন্যায় করে থাকলে প্রশাসন আইনানুগ পদক্ষেপ নেবে।
আরও পড়ুন- আঁতুড় কাটতেই বিরাট ভোলবদল…! মেয়ের থেকে দূরে গিয়ে এটা কী করলেন শ্রীময়ী? দেখলে চমক উঠবেন
এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, জামাই বিধায়ক বলেই কি বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির আত্মীয় পরিজনরা? সেজন্যই কি বিদ্যুত চুরি করতে হাত কাঁপেনি তাঁদের? বিদ্যুৎ চুরি আটকাতে কড়া আইন হয়েছে। তা বিধায়কের আত্মীয়দের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হচ্ছে না কেন? খবর পেয়ে এলাকায় যান বিদ্যুত দফতরের কর্মী অফিসাররা। কিন্তু তাঁরা আর হুকিং দেখতে পাননি। তার আগেই তা খুলে ফেলা হয়।