ধীরে ধীরে যুগ বদলেছে, সময় পাল্টেছে। বাচ্চাদের হাতে এখন অতি বুদ্ধিমান মুঠোফোন। বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের বেড়াজালে অনলাইন ক্লাসের চাপে এবং জীবনের রেসে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে সেসব ছেলেবেলা এখন প্রায় হারিয়ে গেছে বললে ভুল হবে না। তবুও রথ যাত্রার আগে যেন আবারও নব্বইয়ের দশকে ফিরে যান বাঁকুড়ার কিছু রথ প্রস্তুতকারকরা। কীসের একটা আশায় তাঁরা কাঠ দিয়ে তৈরি করেন ছোট ছোট রথ। সেরকমই ছবি ধরা পড়ল বাঁকুড়ার মাচানতলায়। কাঠ কেটে রথ তৈরি করতে দেখা গেল এক রথ প্রস্তুতকারককে।
advertisement
আরও পড়ুন: সেতু নির্মাণে গতি মন্থরতা, যানজটে নাকাল বারুইপুর
বিভিন্ন আকারের রথ রয়েছে। একেবারে ছোট থেকে শুরু করে তিন ফুট উচ্চতা পর্যন্ত। দামও ভিন্ন ভিন্ন। আড়াইশো টাকা থেকে শুরু করে চার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা পর্যন্ত দামের রথ পাওয়া যাচ্ছে। অর্ডার দিয়েও তৈরি হচ্ছে রথ। প্রখর রোদের মাঝে রথের কাজ করতে দেখে মুখ তুলে তাকাচ্ছেন পথ চলতি মানুষজন। পাশে এসে উজ্জ্বল চোখে কাঠের রথ দেখছে ছোট ছোট বাচ্চারা। ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা। এখন শুধুই অপেক্ষা রথ যাত্রার। রথ প্রস্তুতকারক রথীন শীল বলেন, প্রতিবছর এই সময়টাতে বিভিন্ন আকারের রথ বিক্রি হয়। বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলেই রথ কিনে নিয়ে যান। এছাড়াও প্রত্যেকের বাড়িতে রয়েছেন গোপাল। সেই কারণেই রথের জনপ্রিয়তা পৌঁছেছে অন্য মাত্রায়।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী