বেলঘরিয়ার 'ছায়ানীর অ্যাপার্টমেন্ট' নামে ওই আবাসনের একেবারে নীচের তলায় আড়াই বছর ধরে ভাড়া থাকতেন সজল চৌধুরী, দাদা বিমল চৌধুরী ও বোন রানু চৌধুরী। দাদা বিমল চৌধুরী তেমন কিছু করতেন না। দিদি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন, শয্যাশায়ী। পরিবারে একমাত্র রোজগেরে বলতে সজল চৌধুরী। তিনি আর্টিস্টের কাজ করতেন। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, পাড়ার লোকের সঙ্গে কখনও খারাপ ব্যবহার করেননি তিনজনের কেউ-ই। এই ঘটনা ঘটার আগে গতকাল রাত্রে বাড়ির পরিচারিকাকে টাকা-পয়সা মিটিয়ে দেন সজলবাবু। মঙ্গলবার সকালে তিনি পাশের ঘরের বাসিন্দা রাধা মাধব সাহাকে ডেকে তোলেন এবং বলেন গ্যাসের অফিস থেকে লোক আসতে পারে। তাঁকে ফাঁকা সিলিন্ডার দিয়ে দেওয়ার কথাও বলেন।
advertisement
এরপরই সজলবাবু ঘরের ছিটকিনি আটকে ঘর থেকে বেরিয়ে যান। সকাল আটটা নাগাদ পাশেই একটি পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পুলিশ সজলবাবুর দেহ উদ্ধার করে বেলা এগারোটা নাগাদ। এরপর দেহ নিয়ে বাড়িতে এসে দেখতে পান দুই ভাই-বোন বিছানায় শুয়ে রয়েছেন। ডাকাডাকি করেও সাড়া পাওয়া যায়নি। পরীক্ষা করে দেখা যায়, দেহ শক্ত হয়ে গিয়েছে।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, গতকাল রাতেই খাবারের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে অথবা শ্বাস রোধ করে ভাই-বোনকে মেরে নিজে আত্মঘাতী হয়েছেন সজলবাবু। স্থানীয় অনেকেই জানান, দিদির চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা ধার করেছিলেন সজল চৌধুরী।
ARUN GHOSH