পারিবারিক কোনও শত্রুতা নাকি অন্য কোনও কারণে ওই ছাত্রকে এ ভাবে খুন করল তা নিয়ে রীতিমতো রহস্য তৈরি হয়েছে৷ ঘটনার তদন্তে নেমেছে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ৷ যদিও এখনও এই ঘটনায় কাউকেই গ্রেফতার বা আটক করতে পারেনি পুলিশ৷
আরও পড়ুন: গভীর রাতে এসে থামল কালো গাড়ি, পর পর লুটিয়ে পড়ল কুড়িটি পথ কুকুর! তেলঙ্গানায় ভয়ঙ্কর কাণ্ড
advertisement
জানা গিয়েছে, নিহত ওই ছাত্রের মা স্থানীয় একটি ক্যাফেতে কাজ করেন৷ বাবাও একটি কাজে কলকাতায় গিয়েছিলেন৷ সেই সুযোগেই সন্ধে সাতটা থেকে সাড়ে সাতটার মধ্যে এক বা একাধিক আততায়ী বাড়িতে ঢুকে ওই ছাত্রকে খুন করে৷ পুলিশের অনুমান, প্রায় দশ মিনিট ধরে হত্যালীলা চালানো হয়৷ ছুরি দিয়ে কোপানোর পাশাপাশি পর ওই ছাত্রের হাত এবং পায়ের শিরাও কেটে দেওয়া হয়৷ ফলে প্রবল আক্রোশ থেকেই ওই ছাত্রকে খুন করা হয়েছে, তা একরকম নিশ্চিত পুলিশ৷
কারণ, ইতিমধ্যেই খুনে ব্যবহৃত সবজি কাটার ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ৷ এর পাশাপাশি বাড়ির সিঁড়িতে রাখা থান ইট দিয়েও ছাত্রের মাথায় আঘাত করা হয়৷ মৃত্যু নিশ্চিত করতে ঘরে রাখা গণেশ মূর্তি দিয়েও বার বার ছাত্রকে আঘাত করা হয়৷ সেই মূর্তিটিও ভাঙা অবস্থায় ঘরের মেঝেতে পড়ে ছিল৷ এর পর দেহটি খাটের নীচে লুকিয়ে রেখে চলে যায় আততায়ী৷
যদিও কেন তাঁর ছেলেকে কেউ এ ভাবে খুন করবে, সে বিষয়ে অন্ধকারে ওই ছাত্রের বাবা-মাও৷ তবে ওই ছাত্রের বাবা পুলিশকে জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগে স্কুলে যাওয়ার সময় স্কুলেরই এক সিনিয়র ছাত্রের সঙ্গে বিবাদ হয়েছিল৷ নিহত ছাত্রের বাবা-মা ছাড়াও স্কুলের সহপাঠীদের সঙ্গেও কথা বলছে পুলিশ৷ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ৷ যদিও ছেলের খুনের সঙ্গে ওই ঘটনারই যোগ রয়েছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত নন ওই ছাত্রের বাবা৷
এ দিন নিহত ছাত্রের বাড়িতে যান চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি৷ নিহত ছাত্রের বাবা মায়ের সঙ্গে দেখা করেন তিনি৷ ঘটনাস্থলে যায় ফরেন্সিক দলও৷ যে ঘরে শিশুটিকে খুন করা হয়, সেই ঘরটিও সিল করে দিয়েছে পুলিশ৷