তবে গ্রেফতার করা হলেও ভানুকে এখনই এ রাজ্যে আনা যাচ্ছে না বলেই সূত্রের খবর৷ জানা গিয়েছে, ওড়িশায় পৌঁছেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় নার্সিং হোমে ভর্তি হয়েছিলেন ভানু বাগ। বর্তমানেও তিনি ওড়িশার কটকের রুদ্র নার্সিংহোমেই ভর্তি৷ তাঁকে বেডের উপরে কলাপাতা বিছিয়ে শুইয়ে রাখা হয়েছে বলে সূত্রের খবর৷ চলছে চিকিৎসা৷ ওড়িশা পুলিশ রয়েছে পাহারায়৷ একটু সুস্থ হলেই ভানুকে ট্রানজিট রিম্যান্ডে পশ্চিমবঙ্গে নিয়ে আসা হবে বলে জানা গিয়েছে৷
advertisement
আরও পড়ুন: পাখির চোখ পঞ্চায়েত! আজ থেকেই জঙ্গলমহলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার
পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুলে অবৈধ বাজি কারখানা বিস্ফোরণের বলি হয়েছেন কমপক্ষে ৯ জন৷ এখনও আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অন্তত ৭৷ তার মধ্যে ২ দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের নিয়ে আসা হয়েছে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে৷ সেখানেই মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তাঁরা৷ বিস্ফোরণের পর থেকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না কৃষ্ণপদ ওরফে ভানু বাগকে৷ গতকাল থেকেই তার তল্লাশিতে নামেন সিআইডি আধিকারিকেরা৷ ওড়িশায় পাঠানো হয় বিশেষ দল৷ ৪ জনকে আটক করে ভানু সম্পর্কে চরলে জিজ্ঞাসাবাদও৷
ভানু বাগ এলাকার পরিচিত তৃণমূল নেতা বলেই স্থানীয় সূত্রের খবর৷ তবে, বাম আমল থেকেই নাকি বারবার একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে এই ভানু বাগের বিরুদ্ধে৷ একাধিক বার করেছেন বাড়ি বদল৷ প্রথমে ১৯৯৫, তারপরে ’৯৮, তারপরে ২০০১৷ একের পর এক বিস্ফোরণ হয়েছে তাঁর অবৈধ বাজি কারখানায়৷ এমনকী, বিস্ফোরণে ভাই বাদল বাগকেও হারাতে হয়েছে তাঁকে৷
কিন্তু, ভাইয়ের মৃত্যুর পরেও বন্ধ হয়নি এই বেআইনি কারবার৷ এলাকাবাসীর দাবি, শুধু বাজিই নয়, রীতিমতো ‘বোমা বানানোর ফ্যাক্টরি’ চালায় এই ভানু৷ এখন নয়, ’৯৫ সালেরও আগে থেকে৷ কিন্তু, এতই নাকি তাঁর প্রতিপত্তি যে, বার বার দুর্ঘটনা, বিস্ফোরণের পরেও বন্ধ করা যায়নি তাঁর কারখানা৷ বার বার বাড়ি বদল হয়েছে মাত্র৷ ২০২২ সালে নাকি গ্রেফতারও হয়েছিলেন এই অভিযুক্ত৷ তারপরে ছাড়াও পেয়ে যান৷