শীতকালে যাত্রার আসর। গাঁ-গঞ্জের বিকেল থেকে রাত সে এক সময় ছিল। মঞ্চে শিল্পীরা সামাজিক জীবনের কত কিছু তুলে ধরতেন যাত্রাপালায়। ছোট থেকে বুড়ো হাঁ হয়ে গিলত সেই সব মেকআপ-রং-আলো-অন্ধকারের বুনোট। তবে সময়ের গ্রাসে যাত্রাপালা ধূসর হয়েছে। অভাব যেন যবনিকা পতন ঘটিয়েছিল কলাকুশলীদের জীবনে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে আবার আলোয় ফিরেছেন যাত্রাশিল্পীরা। রুগ্্ণ যাত্রাশিল্পকে বাঁচিয়ে তুলতে তথ্য ও সংস্কৃতি ও পর্যটন দফতরের উদ্যোগে যাত্রা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। সম্প্রতি চন্দননগরের খলিসানি বিদ্যামন্দিরের অনাদিনাথ মঞ্চে হয়ে গেল হুগলি জেলা যাত্রা উৎসব। সামাজিক, পৌরাণিক-সহ বিভিন্ন যাত্রাপালা মঞ্চস্থ হয়।
advertisement
রাজ্য সরকারের উদ্যোগে কলাকুশলীরাও খুশি। নতুন করে আয়ের পথ খুঁজে পেয়েছেন শিল্পীরা। প্রতি যাত্রাদলকে ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয় এবং যাত্রাদলকে স্মারক সম্মান দেওয়া হয়
যাত্রাশিল্পের মাধ্যমেই লোকশিক্ষার প্রসার হচ্ছে। বিভিন্ন সামাজিক সচেতনতামূলক প্রচারও করা হচ্ছে যাত্রার মাধ্যমে। টিভি, ইন্টারনেটের দুনিয়ায় মানুষ বোকাবাক্সে বন্দি হয়ে পড়ছে দিনদিন। সেখানে এই যাত্রা শিল্প ফিরে আসায় খুশি দর্শকরাও।