পড়াশোনা করেও বেকার ছিলেন অনেকেই। চাকরি পাননি। ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন গ্রামে কর্মহীন ছিলেন তরুণ-তরুণীরা। আগের সরকারের আমলে অনেকেই কাজের খোঁজে ভিনরাজ্যে পাড়ি দিতেন। তবে সরকার পরিবর্তনের সঙ্গেই মানুষের জীবনযাত্রা বদলে গিয়েছে। সৌজন্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভিন্নরকম স্বনির্ভরতার প্রকল্পের সাহায্যে বেকার তরুণ-তরুণীরা আর্থিক স্বনির্ভর হয়েছেন। ঝাড়গ্রামে পশুপালন দফতরের উদ্যোগে মাছ চাষ করছেন অনেকেই। আর্থিক সাহায্য করেছে পশুপালন দফতরই। ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে পুকুর কেটে মাছ চাষে লাভের খাতা ভরছে। ছোট ছোট পুকুরগুলি জুড়ে কোথাও বড় দিঘি তৈরি করা হয়েছে।
advertisement
লাভের মাছ চাষ
-------------------
- প্রায় ২ হাজার পরিবার উপকৃত
- ঝাড়গ্রাম, জামবনি, বেলপাহাড়ি, সাঁকরাইল, বিনপুর, গোপীবল্লভপুর, নয়াগ্রাম
- বিভিন্ন ব্লকে পুকুর কেেট মাছ চাষ করা হচ্ছে
- পুকুরের সংখ্যা বাড়িয়ে মাছ চাষের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে
- রুই, কাতলা, গলদা চিংড়ি-সহ বিভিন্ন মাছ চাষ হচ্ছে
- স্থানীয় বাজারের সঙ্গেই রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে এই মাছ বিক্রি হচ্ছে
কথাতেই আছে মাছে ভােত বাঙালি। চালানি মাছ নয়, স্থানীয় মানুষের পাতেও জায়গা করে নিচ্ছে এই মাছ। স্বনির্ভরতার হাসি হাসছেন মানুষ।
শুধু মাছ চাষ নয়, অনেকেই হাঁস-মুরগি-ছাগলও পালন করছেন। একইভাবে পাশে দাড়িয়েছে রাজ্য সরকার। কর্মহীনতার দিন ভুলেছেন শিক্ষিত তরুণ-তরুণীরা। আর্থিক সাবলম্বী হয়ে হাসছে জঙ্গলমহল।