পর্যটনে বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রকে বিশ্বমাঝে তুলে ধরতে সাজিয়েছে পর্যটন দফতর। উত্তর চব্বিশ পরগনায় ইছামতীর তীরে সবুজে ঘেরা ছোট্ট শহর টাকি। বসিরহাট মহকুমার টাকি শহরের পর্যটনকেও ঢেলে সাজিয়েছে রাজ্যসরকার। পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন মানচিত্রে উইকএন্ড ডেস্টিনেশন হিসাবে স্থান করে নিয়েছে টাকি। উৎসবের মরশুম ছাড়াও প্রতিনিয়ত এখানে ভিড় জমান অসংখ্য মানুষ। পর্যটকদের চাহিদামত দুই বাংলার মাঝে ইছামতী নদীর উপর তৈরি হচ্ছে ফ্লোটেল। ভাসমান এই রেস্তোরাঁর কাজ প্রায় শেষ। ডিসেম্বরেই উদ্বোধন হওয়ার অপেক্ষা।
advertisement
ইছামতীর বুকে ফ্লোটেল
--------------------
- পর্যটন দফতর ৭৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করে
- ২০১৬ সালের শেষে ফ্লোটেল তৈরির কাজ শুরু হয়
- কফি শপ বা রেস্তোরাঁয় খেতে পারবেন পর্যটকরা
- জন্মদিন, বিবাহ-বার্ষিকী বা মিটিংয়ের জন্য ভাড়া নেওয়া যাবে
একদিকে এবাংলার সবুজে ঘেরা টাকি। অন্যদিকে বাংলাদেশের দেভাটা। মাঝে বয়ে গিয়েছে ইছামতী নদী ৷ প্রকৃতির মনভোলানো রূপ দেখতে পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। এতদিন পর্যটকরা টাকি নদীর ঘাট থেকে নৌকা ভাড়া করে জিরো পয়েন্ট বরাবর ঘুরতেন। নদীতে কোথাও দাঁড়ানো বা মাঝনদী ছাড়িয়ে যাওয়ার অনুমতি ছিল না | তবে ফ্লোটেলে অনেকটা সময় মাঝ নদীতে সময় কাটানো যাবে৷ পর্যটকরা এখন থেকেই পুরসভায় যোগাযোগ শুরু করেছেন।
ইছামতীর বুকে ফ্লোটেলের ভাড়া কত হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। তবে পুরসভার আশ্বাস, সাধারণের কথা মাথায় রেখেই ভাড়া নির্ধারণ করা হবে। তাহলে এপার আর ওপার বাংলার রূপ দেখতে গন্তব্য হতেই পারে টাকি...৷