মুর্শিদাবাদ জেলার হরিহরপাড়া ব্লকে আইসিডিএস সেন্টারের কর্মীরা বিল তৈরি করার পরেও নিজেদের পকেট থেকে ডিমের টাকা মিটাতে হচ্ছে। ৬টাকা ৩০ পয়সা মিড মে মিলের ডিমের জন্য বরাদ্দ করা হলেও বাজারে ডিমের দাম ৭ থেকে ৮ টাকা।
আর পাতে ডিম না মেলায় ক্ষুদ্ধ হচ্ছেন শিশুর মায়েরা। অন্যদিকে সবজির দাম ও আকাশ ছোঁয়া। আর যা বরাদ্দ করা হয়েছে তাতে সব্জি ঠিক মতো মেলে না।
advertisement
মিড ডে মিলের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা জানিয়েছেন, বর্তমানে ডিমের যেভাবে দাম বৃদ্ধি হয়েছে তাতে শিশুদের পাতে ডিম দেওয়া সম্ভব নয়। এমনকি বাকি থেকে যাচ্ছে মাসের পর মাস টাকা। ফলে অতিরিক্ত দাম বৃদ্ধির ফলে সমস্যায় আমরাও।
সম্প্রতি, প্রাথমিকের পড়ুয়াদের জন্য মিড-ডে মিলের বরাদ্দ বেড়ে হয়েছে ৬ টাকা ১৯ পয়সা। উচ্চ প্রাথমিকের পড়ুয়াদের জন্য তা হয়েছে ৯ টাকা ২৯ পয়সা। এ দিকে ডিমের দাম এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ টাকা।
এই দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। তাই প্রশ্ন উঠছে, মিড-ডে মিলের বর্ধিত বরাদ্দের পরেও কি পড়ুয়াদের পাতে একটা আস্ত ডিম দেওয়া সম্ভব হবে? শিক্ষকদের একাংশের মতে, মিড-ডে মিলে বরাদ্দ বর্ধিত হয়ে পড়ুয়াদের কোনও লাভ হল না।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার মিড-ডে মিলের বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছে। প্রাথমিকে অর্থাৎ প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মিড-ডে মিলের বরাদ্দ ছিল ৫টাকা ৪৫ পয়সা এবং ষষ্ঠ থেকে অষ্টম অর্থাৎ উচ্চ প্রাথমিকে মিড-ডে মিলের বরাদ্দ ছিল ৮ টাকা ১৭ পয়সা। প্রাথমিকে ৭৪ পয়সা বেড়ে সেই বরাদ্দ এখন হয়েছে ৬ টাকা ১৯ পয়সা এবং উচ্চ প্রাথমিকে ১ টাকা ১২ বয়সা বেড়ে হয়েছে ৯ টাকা ২৯ পয়সা।
কৌশিক অধিকারী