কিছুদিন আগেই এলাকা পরিদর্শন করেন পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক আয়েশা রানী এ এবং রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তাঁদের নির্দেশে দ্রুততার সঙ্গে কাজ শুরু হয়েছে। নসরতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মোমিন হোসেন মণ্ডল বলেন, “এই কাজের জন্য ২ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এটা অনেক দিনের সমস্যা ছিল, আশা করছি এবার সমস্যার সমাধান হবে। গ্রামের মানুষ অনেক উপকৃত হবে।”
advertisement
আরও পড়ুন: পদবী ‘সর্দার’ বাদ দিয়েছেন, মানুষ ও সাপের বন্ধু তিনি, নাম ‘সাপ বাপী’
স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, এই উদ্যোগ বহুদিনের চাহিদা ছিল। তাঁদের চোখের সামনে বহু জমি, ঘরবাড়ি নদীতে চলে গেছে। তবে এখন সকলেই আশাবাদী, এবার মনে হয় পাড় অন্তত থাকবে, ভাঙন আর হবেনা। এটা শুধু একটা প্রকল্প নয়, গ্রামবাসীদের কাছে একটা স্বপ্ন। স্থানীয় বাসিন্দা সিদ্ধেশ্বর মণ্ডল বলেন, “আমরা অনেক আতঙ্ক থাকি। তবে এবার কাজ শুরু হয়েছে, এবার আমরা অনেক খুশি। আমাদের ভাঙন বন্ধ হলে অনেক উপকার হবে। আমরা এত খুশি এই কাজে তা বলে বোঝাতে পারবো না।”
আরও পড়ুন: মা-মেয়ের সঙ্গে প্রেম, হলদি নদীর পাড়ে ভয়ানক পরিণতি! ৫ বছর পর বড় রায় দিল তমলুক আদালত
এই প্রকল্প কেবল নদীর গতি নিয়ন্ত্রণ করবে না, বরং এলাকার মানুষজনের ঘরবাড়ি, কৃষিজমি ও সামগ্রিক নিরাপত্তাও নিশ্চিত করবে। প্রশাসনের এই তৎপরতায় খুশি কিশোরীগঞ্জের মানুষজন। নদীভাঙনের মত প্রাকৃতিক দুর্যোগ রোধে এমন সংগঠিত ও দূরদর্শী পদক্ষেপই দিতে পারে বাস্তব স্বস্তি। নদীর পাড়ে এবার সত্যিই আলো দেখছে কিশোরীগঞ্জ।