পারিবারিক জমি ছিল তিন বিঘে। এখন প্রায় পঁচিশ বিঘে জমির মালিক জিন্নার। খুব কম সময়ের মধ্যে নিজের গ্রাম ও সেহারাবাজারে অনেক জমি কিনেছে। এছাড়াও তাঁর নাকি কলকাতা, বর্ধমান, বাঁকুড়ায় বাড়ি আছে। এত টাকার উৎস কী? কিছুই জানা নেই গ্রামবাসীদের। তাঁদের বক্তব্য, ‘বাইরে চাকরি করে এমনটাই জানাতেন জিন্নার। কিন্তু কী চাকরি করতেন, কত টাকা বেতন পেত সে সব কিছু আমরা জানতাম না। আজ দেখছি ইডি আধিকারিকেরা এসে বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে।’
advertisement
রাতে মাঝেমধ্যেই বাড়িতে পার্টি হত। খাওয়া দাওয়ায় যোগ দিতেন পরিচিত বিধায়ক থেকে পুলিশ অফিসার, সরকারি আধিকারিক অনেকেই। জিন্নারের ফেসবুক পেজে বহু ছবি রয়েছে বিধায়ক অলোক মাঝির। বিধায়ক নাকি প্রায়ই আসতেন তাঁর বাড়িতে। বিধানসভাতেও ওই বিধায়কের সঙ্গে জিন্নারের ছবি দেখা যাচ্ছে। বিধায়ক অলোক মাঝি অবশ্য বলেন, ‘আমি জনপ্রতিনিধি। অনেকেই আমার সঙ্গে ছবি তোলেন। জিন্নারের সঙ্গে বাড়তি কোনও ঘনিষ্ঠতা নেই।’
ইডি অফিসারের ভুয়ো পরিচয় দিয়ে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে দেড় কোটি টাকা নিয়েছেন শেখ জিন্নার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তার বাড়িতে বুধবার সকাল থেকে অভিযান চালায় ইডি। তল্লাশিতে বেশ কিছু নথি তারা বাজেয়াপ্ত করেছে বলে জানা গিয়েছে।