পঞ্চায়েত দুর্নীতি থেকে একশো দিনের দুর্নীতি কাণ্ডে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে সাত সকালে আজ ইডির হানা হয়। রথীন দের সঙ্গে দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে জেলা নোডাল অফিসার তথা ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্চয়ন পানের। তিনি একশো দিনের প্রকল্পের কাজ দেখাশোনা করতেন।
advertisement
জানা গিয়েছে, বহরমপুর বিষ্ণুপুর কালীবাড়ি চত্বরে তার বাড়ি রয়েছে। দ্বিতল বাড়িতেই রথীন দে বসবাস করেন। কিন্তু পঞ্চায়েতে কাজ করলেও তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ছিল আগাগোড়া।
এছাড়াও বহরমপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট তথা জেলা নোডাল অফিসার সঞ্চয়ন পানের ভাড়া বাড়িতেও ইডির হানা হয় এদিন। বহরমপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট বহরমপুর বিষ্ণুপুর কালীবাড়ি রোডের জ্ঞানেন্দ্র পালের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন সঞ্চয়ন পান। তার বাড়িতেও মঙ্গলবার সকালে ইডির আধিকারিকরা হানা দেয়।
একশো দিনের দুর্নীতি কাণ্ডে আগেই ইডি হানা চলছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। তবে এই রথীন দে নওদার পঞ্চায়েতের সচিব পদে কর্মরত ছিলেন। আগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে নওদা ও বেলডাঙার বিডিও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। দোষী প্রমাণিত হতেই তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করে আগে জেল খেটেছেন। বর্তমানে তিনি সাসপেন্ড রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির পাহাড় সমান প্রমাণ রয়েছে বলে সূত্রের খবর।
সুত্রের খবর, প্রায় চার কোটি টাকার উপর দুর্নীতির অভিযোগ আছে রথীনদের বিরুদ্ধে। ইতি মধ্যেই গোটা বাড়ি-সহ এলাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তারা ঘিরে রেখেছে। তবে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট কী ভাবে এই দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ল তার তদন্ত শুরু করেছে ইডি আধিকারিকরা।
এর আগে মুর্শিদাবাদে একাধিকবার ইডির হানা হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতির কাণ্ডের পর পঞ্চায়েতের দুর্নীতির কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে পঞ্চায়েত ইস্যু। তবে তদন্তের স্বার্থে ইডি আধিকারিকরা কোনও মুখ খুলতে চাননি।
কৌশিক অধিকারী