বহরমপুরের বিষ্ণুপুর কালীবাড়ি চত্বরে রথীনদের বাড়িতে ইডি হানা দেয় এদিন। তিনি নওদার পঞ্চায়েতের কর্মী পদে রয়েছেন। অভিযোগ, ১০০ দিনের কাজের দুর্নীতিতে তিনি যুক্ত রয়েছেন। ১০০ দিনের দুর্নীতির কাণ্ডে আগেই ইডি হানা চলছে বিভিন্ন জায়গায়। রথীন দে তিনি নওদার পঞ্চায়েতের সচিব পদে কর্মরত ছিলেন।
আগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে নওদা ও বেলডাঙার বিডিও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। দোষী প্রমাণিত হতেই তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করে আগে জেল খেটেছেন। বর্তমানে তিনি সাসপেন্ড রয়েছেন। পঞ্চায়েত দুর্নীতি থেকে একশো দিনের দুর্নীতির কান্ডে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে সাত সকালে এই ইডির হানা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন, ‘অধীরবাবুর হাল দেখছি’, বহরমপুরের সাংসদকে কী নিয়ে খোঁচা দিলেন মোদি?
ইডি সূত্রে খবর, বেলডাঙায় ২০১৯ সালে একটি এফআইআর হয়। আরেকটি ২০১৯ সালের শেষের দিকে। এর পাশাপাশি মুর্শিদাবাদেও আরেকটি এফআইআর হয়। সব মিলে একটি ECIR করে ইডি। অভিযোগ, ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে যাঁরা ১০০ দিনের কাজ করেনি, তাঁদের অ্যাকাউন্টে মনরেগা প্রকল্পের টাকা ঢুকেছে। এই দুর্নীতি কাণ্ডে একশ্রেণির সরকারি আধিকারিকরাও যুক্ত রয়েছে বলে দাবি ইডির।
এদিন ইডি অফিসাররা হুগলির ধনেখালির ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার বিডিও সঞ্চয়ন পানের দুটো ফ্ল্যাটেও তল্লাশি চালাচ্ছে। ১০০ দিনের প্রকল্পের দুর্নীতি অভিযোগেই এই তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ইডি। ১০০ দিনের প্রকল্পের দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে একাধিক ক্ষেত্রে। মুর্শিদাবাদ, চুঁচুড়া, ঝাড়গ্রাম, সল্টলেকের দুটি ফ্ল্যাট সহ ৬ টি জায়গায় ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি।