ইডি সূত্রে খবর, তদন্তের স্বার্থে এবার ধৃতদের নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাতে পারে কেন্দ্রীয় এই সংস্থা। মূলত বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কর হাজার কোটি টাকা প্রতারণা ঘটনায় নাম জড়ায় প্রশান্ত হালদার ও সুকুমার মৃধার। কোটি টাকার বেশি মূল্যের বেশ কয়েকটি বাগানবাড়ি সহ বিভিন্ন প্রসাদ সম অট্টালিকাও রয়েছে ধৃতদের নামে। ইডির আধিকারিকরা হানা দেন সেই সব জায়গাতেও।
advertisement
আরও পড়ুন: কেউ কাজ দিচ্ছে না, হাতের কাজও করা অসম্ভব, জোড়া সমস্যায় দুর্গা পিতুরির সোনার কারিগররা
অশোকনগরে সুকুমার মৃধার একটি বাগানবাড়ি ইতিমধ্যেই সিল করে দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।উদ্ধার হয়েছে বহু নথি সহ ডায়েরি এবং ফোন নম্বর। ইডির হাতে গ্রেফতার ৬ জনের মধ্যে এক মহিলাও রয়েছেন। তাদের বসিয়ে চলে ম্যারাথন জেরা। ইডি ৬ জনকে গ্রেফতার করে অনলাইনের মাধ্যমে আদালতে নথি দাখিল করে এবং নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায়।আদালত তিন দিনের ইডি হেফাজতে নির্দেশ দেয় পাঁচ জনকে এবং মহিলাকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। ১৭ মে ফের আদালতে পেশ করা হবে তাদের। ধৃতদের প্রত্যেকের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যদিও ওই মোবাইল রবিবার খোলা না হলেও, সম্ভবত সোমবার খোলা হতে পারে বলে দাবি তদন্তকারী আধিকারিকদের।এদের নামে একাধিক জমি, সম্পত্তি, একাধিক ব্যাঙ্ক একাউন্ট, চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে ইডির তদন্তকারী অফিসারদের কাছে।
কীভাবে এই সম্পত্তি করল নিজেদের নামে? কোন কোন ব্যাঙ্কে টাকা রাখত? প্রয়োজনে সেই সবব্যাঙ্কের ম্যানেজারদেরও ডাকা হতে পারে।কীভাবে এদেশের পরিচয় পত্র তৈরি করল? সে বিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের নিয়ে প্রয়োজনে অশোকনগরে আসতে পারেন ইডি আধিকারিকেরা। কে বা কারা অভিযুক্তদের এ দেশের পরিচয় পত্র তৈরিতে সাহায্য করেছিল, সেই বিষয়টিকেও নজর রাখছেন কেন্দ্রীয় এই গোয়েন্দা সংস্থা।
আরও পড়ুন: রাতের অন্ধকারে পুকুরের জল ঠিকরে বেরোচ্ছে আলো! ভৌতিক নাকি অলৌকিক? তোলপাড়...
অন্যদিকে, স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অশোকনগরে পাঁচ নম্বর বিল্ডিং মোড় এলাকায় রয়েছে সুকুমার মৃধার আরও একটি বাড়ি।বাংলাদেশ থেকে এ দেশে এসে জামাই মেয়ে থাকেন সেই বাড়িতে।প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, সুকুমার মৃধার তৈরি রাজলক্ষ্মী ভবনে কালীপুজোয় থাকতো এলাহি আয়োজন। দু-তিন দিন ধরে চলত খাওয়া-দাওয়া।কিন্তু বিগত কয়েকবছর ধরে বন্ধ হয়েছে পুজো।প্রতিবেশীরা জানান, সুকুমার মৃধার কোনও সমস্যার কারণেই পুজো বন্ধ আছে বলে জানেন তারা।তবে এত বড় কাণ্ড ঘটিয়েছেন ওই ব্যক্তি তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি কেউই।মেয়ের কাছে আসতেন মাঝে মধ্যেই।
প্রতিবেশীদের কথায় বাড়ির অন্দরে প্রবেশের আগেই রয়েছে দোতালায় একটি গেট। সিঁড়িতে ঝুল পড়া তালা বন্ধ থাকলেও কেউ জানেন না কি কাজে ব্যবহার করা হত সেই ঘরগুলি।প্রতিবেশীদের থেকে এক প্রকার বিচ্ছিন্নই থাকতেন এই পরিবারের সদস্যরা। যাতে বাড়ির ভিতরের কোনও কিছুই কেউ দেখতে না পায় তার জন্য উঁচু প্রাচীর তুলে দেওয়া হয়েছিল চারদিকে, এমনটাই জানান প্রতিবেশীরা।
রুদ্র নারায়ণ রায়
