চার দিনের সফরে ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসে পৌঁছেছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরে। মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পরিষদের সদস্যদের পাশাপাশি পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূলের নেতৃত্বকেও ডেকে পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। দুপুর দু’টো থেকে এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। আর সেই বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পরিষদের নয়া সভাধিপতির নাম ঘোষণা করবেন। যা নিয়ে উৎসাহ তুঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তৃণমূল নেতৃত্বের মধ্যেও।
advertisement
আরও পড়ুন- নিম্নচাপের জেরে দুর্যোগ অব্যাহত, দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টি আরও কতদিন চলবে জেনে নিন
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে পূর্ব মেদিনীপুরের রাজনৈতিক সমীকরণে জেলা সভাধিপতির ভূমিকা যে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে তা নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের তৃণমূলের সম্মেলন থেকেই কার্যত ইঙ্গিত দিয়ে দিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি এই বৈঠক থেকে রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বার্তাও দিতে পারেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষ করে আগামী দিনে পূর্ব মেদিনীপুরে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূল নেতৃত্বের কী রনকৌশল হবে তা সাজিয়ে দিতে পারেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেক্ষেত্রে রাজনৈতিকভাবে মঙ্গলবারের এই জেলা পরিষদের সভাধিপতি নির্বাচন-সহ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
আরও পড়ুন- জীবন আমূল বদলে যেতে পারে এই সেপ্টেম্বরেই! শুক্রের গোচর কীভাবে কোন রাশিকে প্রভাবিত করবে?
মূলত ৬০ সদস্যবিশিষ্ট এই জেলা পরিষদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে তৃণমূলেরই। তবে সভাধিপতি পদটি ওবিসি সদস্যদের জন্যই সংরক্ষিত। ফলে সভাধিপতি পদের দাবিদার হিসেবে ওবিসি ভুক্ত তৃণমূলের জেলা পরিষদের সদস্যরা যে হতে চলেছেন, সে বিষয়ে কোনও অনিশ্চয়তা নেই। যদিও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় একাধিক নাম আলোচনায় রয়েছে। মূলত ২০১১ সালে রাজনৈতিক পালাবদলের আগে ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ তৃণমূলের ক্ষমতায় এসেছিল। ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও তৃণমূল ফের জেলা পরিষদের ক্ষমতায় আসে। মূলত পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবব্রত দাস চলতি বছরের মে মাসেই মারা গিয়েছেন। ওই শূন্য পদে স্থায়ী ভাবে কে বসবেন তা নিয়ে গত কয়েক মাস ধরেই চর্চা শুরু হয়েছিল জেলার রাজনৈতিক মহলে। যদিও অস্থায়ী হিসেবে সেই দায়িত্ব সামলে যাচ্ছেন শেখ সুফিয়ান।
সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খড়গপুর ঢোকার আগেই জেলা নেতৃত্বকে বার্তা দেন, যাতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা নেতৃত্বেও মঙ্গলবারের বৈঠকে উপস্থিত থাকে। সে ক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছে মঙ্গলবার অর্থাৎ আজকের বৈঠক রাজনৈতিকভাবে বেশ গুরুত্ব পেতে চলেছে।